কলকাতা: ভুয়ো আইএএস অফিসার দেবাঞ্জন দেব ভুয়ো ভ্যাকসিনই দিয়েছিল প্রায় ১০০০ জনকে। অবশেষে লালবাজারকে জানিয়ে দিল কোভিশিল্ডের নির্মাতা সংস্থা সেরাম ইন্সটিটিউট। সেরামের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার কলকাতা পুলিশকে নিশ্চিত করা হয়েছে যে কোভিশিল্ডের একটিও ডোজ় আসল ছিল না। কসবার ভুয়ো ক্যাম্প হোক বা কলেজের টিকাকরণ ক্যাম্প, সর্বত্রই ভুয়ো ভ্যাসকিন দিয়েছিল দেবাঞ্জন। তা এ দিন ১০০ শতাংশ নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, দেবাঞ্জনের কসবার অফিস থেকে কোভিশিল্ডের যে ভায়াল এবং স্টিকার-সহ অন্যান্য বস্তু মিলেছিল, তা পরীক্ষা করার জন্য পুনের সেরাম ইন্সটিটিউটে পাঠানো হয়। গবেষণার পর সংশ্লিষ্ট সংস্থা জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া কিছুই তাদের নয়। কোভিশিল্ডের নামে ভুয়ো ভ্যাকসিন দিয়েছিল দেবাঞ্জন।
অন্যদিকে, কলকাতা পুলিশের ফরেন্সিক বিভাগের পক্ষ থেকে প্রাথমিক তদন্তের পর জানানো হয়েছিল, কোভিশিল্ডের জাল স্টিকারের নীচে অ্যামিকাসিন ইঞ্জেকশন ছিল। যদিও সেরাম ইন্সটিটিউট এখনও সেই বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত নয়। করোনা টিকার নামে হাজারো মানুষকে সত্যিই অ্যামিকাসিন দেওয়া হয়েছিল, নাকি তার বদলে অন্য কোনও রাসায়নিক দেবাঞ্জন ব্যবহার করেছিল, তা নিয়ে নিশ্চিত হয়ে চাইছে সেরাম। যে কারণে উদ্ধার হওয়া ভ্যাকসিনের ভায়াল এ বার কেন্দ্রের ড্রাগ কন্ট্রোল অথরিটির কাছে পাঠানো হয়েছে। সেখানে পরীক্ষার পরই পরিষ্কার হবে আসলে দেবাঞ্জন কী প্রবেশ করিয়েছিল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী-সহ এতজন মানুষের শরীরে।
দেবাঞ্জন-কাণ্ডে তদন্তে প্রাথমিকভাবে যদিও কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, কোনও ধরনের গুঁড়ো এবং জল মিশিয়ে ওই ভ্যাকসিন তৈরি করা হয়েছে। তবে পরবর্তী সময় পুলিশের ফরেন্সিক বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কোভিশিল্ডের স্টিকার লাগিয়ে যে টিকাগুলি দেওয়া হয়েছিল তা আদপে ছিল অ্যামিকাসিন। কিন্তু সেরামের জবাব পাওয়ার পর সেই অ্যামিকাসিন ইঞ্জেকশন আসল ছিল না নকল, তা নিয়েও সংশয় দেখা দিতে শুরু করেছে। আরও পড়ুন: বাংলার ৬ জেলা পাচ্ছে নতুন মেডিক্যাল কলেজ, ঘোষণা রাজ্যের, সাহায্য করছে কেন্দ্রও