আচ্ছন্নভাব রয়েছে, তবে চিকিৎসকদের ডাকে সাড়া দিচ্ছেন বুদ্ধবাবু!
একই রকম রয়েছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের (Buddhadeb Bhattacharya) শারীরিক অবস্থা। সকালেও তাঁর আচ্ছন্ন ভাব রয়েছে। তবে চিকিৎসকদের ডাকে সাড়া দিচ্ছেন।
কলকাতা: একই রকম রয়েছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের (Buddhadeb Bhattacharya) শারীরিক অবস্থা। সকালেও তাঁর আচ্ছন্ন ভাব রয়েছে। তবে চিকিৎসকদের ডাকে সাড়া দিচ্ছেন। বাইপ্যাপে দেহে অক্সিজেনের মাত্রা ৯৫ শতাংশ। দেওয়া হয়েছে রেমডিসিভির।
উডল্যান্ডস হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্ধ্যায় আচ্ছন্ন ভাব কাটলেও রাতে আবার আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। দেহে সাইটোকাইন ঝড়ের ইঙ্গিতবাহী পরীক্ষার রিপোর্টে উদ্বিগ্ন রয়েছেন চিকিৎসকেরাও। কারণ সাইটোকাইন ঝড়ের মাপকাঠি আইএল-৬ বা ‘ইন্টারলিউকোটিন ৬’ ৪১ থেকে বেড়ে ৮৩ হয়েছে বুদ্ধবাবুর। সিআরপি ১৫০-র কাছাকাছি।
লাগাতার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে তাঁকে। প্রয়োজনীয় সব রকম পদক্ষেপও করা হচ্ছে বুদ্ধবাবুর শারীরিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে।
আক্রান্ত হওয়ার দ্বিতীয় সপ্তাহ বলেই চিকিৎসকরা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বিষয়ে অত্যন্ত সতর্ক। এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের দ্বিতীয় সপ্তাহ অর্থাৎ অষ্টম দিন থেকে একেবারে ত্রয়োদশ বা চতুর্দশ দিন পর্যন্ত খুবই গুরুত্বপূর্ণ পরিস্থিতি থাকে। কারণ এই সময়ে আক্রান্তের ফুসফুস সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এর সময়েই আক্রান্তের শরীরে তৈরি হয় সাইটোকাইনিন স্টর্ম। আর বুদ্ধবাবুর শরীরে দেহে সাইটোকাইন ঝড়ের ইঙ্গিত রয়েছে।
এবার প্রশ্ন সাইটোকাইনিন স্টর্ম কী?
চিকিৎসকরা বলছেন, ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করলে শরীর তার নিজের নিয়মে ইমিউনোলজিক্যাল রিয়াকশন করে । অর্থাৎ ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করে। শরীরে ইমিউনোলজিক্যাল রিঅ্যাকশন বেশি হলেই ইমিউন স্টর্ম বা সাইটোকাইনিন স্টর্ম তৈরি হয়। ভাইরাস যখন ফুসফুসে ঢোকে তখন তা ফরেন বডির মত আচরণ করে। শরীর আবার পাল্টা এই ভাইরাসকে আটকাতে চায়। এই ঘাত প্রতিঘাতেই ইমিউন স্টর্ম তৈরি হয়। কার শরীরের ইমিউন স্টর্ম কতটা বেশি হবে, তার ওপরই নির্ভর করছে রোগীর শারীরিক অবস্থা কোনদিকে যাবে।
সাইটোকাইনিন স্টর্ম – ঠিক এই বিষয়টি নিয়েই চিন্তিত রয়েছেন বুদ্ধদেব বাবুর ব্যক্তিগত চিকিৎসক এবং অন্যান্য চিকিৎসকেরা।