ভুয়ো সিরিজে এবার রেলের ইঞ্জিনিয়ার! চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা ভুয়ো কর্তার

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Aug 20, 2021 | 10:36 AM

Kolkata Fake Officer: সম্প্রতি হেয়ারস্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন কুপলির এক যুবক। অভিযোগ, দীপক তাঁকে চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষাধিক টাকা নিয়েছিলেন।

ভুয়ো সিরিজে এবার রেলের ইঞ্জিনিয়ার! চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা ভুয়ো কর্তার
নিজস্ব চিত্র

Follow Us

কলকাতা: ফের শহরে ভুয়ো আধিকারিকের হদিশ। রেলে ইঞ্জিনিয়ার সেজে প্রতারণার অভিযোগ। পুলিশের জালে ভুয়ো আধিকারিক। ধৃতের নাম দীপক সিং।

প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, দীপক নিজেকে রেলের এক জন ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে পরিচয় দিতেন। তদন্তে জানা গিয়েছে, দীপক আগে রেলেই চাকরি করতেন। কিন্তু কয়েক বছর আগে তাঁর চাকরি চলে যায়। কিন্তু ভুয়ো পরিচয় ব্যবহার করেই তিনি প্রতারণা করতেন।

সম্প্রতি হেয়ারস্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন কুপলির এক যুবক। অভিযোগ, দীপক তাঁকে চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষাধিক টাকা নিয়েছিলেন। কিন্তু চাকরির নিয়োগপত্র হাতে পাননি। পরে দীপক তাঁর সঙ্গে আর যোগাযোগও রাখেননি। এরপরই যুবক বুঝতে পারেন তিনি প্রতারিত হয়েছেন। হেয়ারস্ট্রিট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।

তদন্তে নামে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ডালহৌসি থেকে গ্রেফতার করা হয় দীপক সিংকে। জানা গিয়েছে,রেলে চাকরি দেওয়ার নাম করে একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে প্রতারণা করেছেন দীপক। মোট কত টাকার প্রতারণা করেছেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দীপকের চাকরিও বা কেন চলে গিয়েছিল, তারপর থেকে কত জনের সঙ্গে তিনি প্রতারণা করেছেন, এই চক্রের সঙ্গে আর কেউ জড়িত কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, প্রতারণার অভিযোগের ভিত্তিতে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। বাকিটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তের বক্তব্যও শোনা হচ্ছে।

কসবার দেবাঞ্জন দেব, বরানগরের সনাতন রায় চৌধুরী, বেলঘরিয়ার রাজর্ষি ভট্টাচার্য – ভুয়ো আইএএস, ভুয়ো সিবিআই কৌসুলী, ভুয়ো আইপিএস- ‘ঠগ’দের এই তালিকায় এখন নবতম সংযোজন দীপক সিং। দন্তকারীরা এবার দেখতে চাইছেন এই দীপকের হাত কতদূর লম্বা। দেবাঞ্জন, সনাতনের মতো এরও কোনও প্রভাবশালী যোগ রয়েছে কিনা।

এর আগে গান অ্যান্ড শেল ফ্যাক্টরিতে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বেশ কয়েক লক্ষ টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ ওঠে বটতলার বাসিন্দা কার্তিকের বিরুদ্ধে। তদন্তে জানা গিয়েছে, প্রতারণার সময়ে কার্তিক নিজের নাম বলতেন ‘কার্তিক শীল রানা’। নিজেকে সরকারি আধিকারিক হিসাবেও পরিচয় দিতেন তিনি।

ত মাসের শেষের দিকে ডিসি নর্থে অভিযোগ দায়ের হয়। এরপর একই নামে কড়েয়া থানাতেও একটি অভিযোগ দায়ের হয়। গান অ্যান্ড শেল ফ্যাক্টরিতে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে তিলজলা এলাকার একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে মোটা টাকা নিয়েছেন কার্তিক। এমনকি তাঁদের ভুয়ো নিয়োগপত্র দেওয়া হয় বলেও তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ। এরপরই কার্তিককে গ্রেফতার করে পুলিশ।

ভুয়ো অফিসারদের তদন্তে নেমে এমন একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে তদন্তকারীদের হাতে। শহর থেকে জেলা- এখন সর্বত্রই নানা ক্ষেত্র থেকে ‘ভুয়ো’দের জালে ফেলছেন তদন্তকারীরা। আরও পড়ুন: বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে এবার লখনউ-পাটনা-দিল্লি ও দেহরাদুনের দুঁদে কর্তারা, সিবিআই গড়ল ৪ টি দল

Next Article