বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে এবার লখনউ-পাটনা-দিল্লি ও দেহরাদুনের দুঁদে কর্তারা, সিবিআই গড়ল ৪ টি দল

Post Poll Violence: এ রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে চারটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করল সিবিআই। আগামী সপ্তাহেই রাজ্যে আসার সম্ভাবনা সিবিআই-এর বিশেষ দলগুলির।

বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে এবার লখনউ-পাটনা-দিল্লি ও দেহরাদুনের দুঁদে কর্তারা, সিবিআই গড়ল ৪ টি দল
সব মিলিয়ে ৪৩ এফআইআর দায়ের করল সিবিআই। প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 20, 2021 | 12:25 PM

কলকাতা: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে সবুজ সঙ্কেত মিলতেই দিল্লিতে শুরু হয়ে গিয়েছে তত্পরতা। আর এ রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে চারটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করল সিবিআই। আগামী সপ্তাহেই রাজ্যে আসার সম্ভাবনা সিবিআই-এর বিশেষ দলগুলির।

প্রতি দলের নেতৃত্বে থাকবেন জয়েন্ট ডিরেক্টর পদমর্যাদার এক অফিসার। এছাড়াও বিশেষ তদন্তকারী দলে রাখা হচ্ছে ডিআইজি ও এসপি পদমর্যাদার অফিসারদের। লখনউ, পাটনা, দিল্লি ও দেহরাদুনের সিবিআই অফিসারদের নিয়ে গড়া হচ্ছে বিশেষ দল। চারটে টিমে আট জন করে আধিকারিক থাকবেন। প্রত্যেক টিমে এক জন করে এসপি পদমর্যাদার মহিলা আধিকারিক থাকছেন। গতকালই কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে এ রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার তদন্ত করবে সিবিআই। তদন্তে নজরদারি করবে উচ্চ আদালত।

গতকালই ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় আদালতের নির্দেশে ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য। পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে নির্দেশ আদালতের নজরদারিতে, খুন, ধর্ষণ, ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগের তদন্ত করবে সিবিআই। অনান্য অভিযোগের তদন্ত করবে সিট। নজরদারিতে থাকবেন সুপ্রিম কোর্টের এক অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি।

ভোটের পর শাসকদলের মদতে বিরোধীদের ওপর হিংসা। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ। কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয় একাধিক মামলা। আদালতের নির্দেশে রাজ্য ঘুরে রিপোর্ট দেয় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কমিটি। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সহ পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে ৩ অগস্ট শুনানি শেষ হয়।

পাঁচ বিচারপতির আলাদা আলাদা পর্যবেক্ষণ থাকলেও, সকলেই সর্বসম্মতভাবে গুরুতর অভিযোগের তদন্তভার সিবিআইকে দিয়েছেন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে পক্ষপাত ও কমিশনের সদস্যদের সঙ্গে বিজেপি নেতাদের ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ তোলে শাসকদল। আদালতে হলফনামাও দেয় রাজ্য সরকার। যদিও হাইকোর্ট তাতে মান্যতা দেয়নি। কমিশনে সিবিআই তদন্তের এক্তিয়ার নেই বলেও দাবি করে রাজ্য। , বিচারপতি আইপি মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি সৌমেন সেনের পর্যবেক্ষণ, কমিটি গণ্ডি ভেঙেছে, তবে আদালতের রায়ে কমিশনেরই সুপারিশের প্রতিফলন দেখা গিয়েছে বলে মনে করছেন আইনজ্ঞরা। মামলাকারী আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাস বলেন, “আমি যখন এই মামলা ফাইল করেছিলাম, তখন গোটা পশ্চিমবঙ্গ অগ্নিগর্ভ। প্রথম শুনানি হয়েছিল মে মাসের ৭ তারিখ। তখন পাঁচ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ গঠিত হয়। রাজ্য প্রথম থেকে মানুষকে ভুল বুঝিয়েছে। বিভ্রান্ত করে সম্পূর্ণ চেষ্টা করেছিল। কিন্তু আজ রায় প্রকৃত বিষয়টা স্পষ্ট করে দিল। সিবিআই তদন্ত নিয়ে পাঁচ বিচারপতি এক মত দিয়েছেন। একটি বিষয়ে চার বিচারপতি একমত।”

আদালতের রায় ঘোষণার পর আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল বলেন, ‘সত্যমেব জয়তে… আদালতের পর্যবেক্ষণ সিবিআই প্রকৃত সত্য অনুসন্ধান করুক। পুলিশ সঠিক তদন্ত করছে না। কারণ পুলিশের বিরুদ্ধেই বেশিরভাগ অভিযোগ। পশ্চিমবঙ্গে হিংসা হয়েছে, এটা প্রমাণিত হল।’ আরও পড়ুন: সর্বসম্মত রায় ‘সিবিআই তদন্ত’! তবে রাজ্যকে সম্পূর্ণ দোষী মানতে নারাজ, ভিন্ন পর্যবেক্ষণ দুই বিচারপতির