কলকাতা: বিজেপি ঘুরে আসা মুখেরা কেন শ্রমজীবী ক্যান্টিনে? বেশ কিছু দিন ধরেই আপত্তি তুলছেন বরাবর লাল শিবিরের মুখ হিসাবে পরিচিত শ্রীলেখা মিত্র, রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়রা। সিপিএম ছাড়ার হুমকিও দিয়েছেন দলের হয়ে ঘাম ঝরানো ওই অভিনেতা-অভিনেত্রীরা।
বছর দুয়েক গেরুয়া শিবিরে থাকা দুই অভিনেতা অভিনেত্রী অনিন্দ্য পুলক বন্দ্যোপাধ্যায় ও রূপা ভট্টাচার্যরা শ্রমজীবী ক্যান্টিনের কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন। যাদবপুর থেকে শুরু হওয়া শ্রমজীবী ক্যান্টিন এখন ছড়িয়ে পড়েছে গোটা রাজ্যে। গত সোমবার তা ৫৫ দিনে পা দিল। শ্রমজীবী ক্যান্টিনে দেখা যায় বিজেপি-ত্যাগী অভিনেতা অনিন্দ্য পুলক বন্দ্যোপাধ্যায় ও রূপা ভট্টাচার্যকে। অনিন্দ্যকে সেদিন বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘পেটের তাগিদে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলাম। বিজেপি না করলে কাজ পেতাম না।’
রূপা ভট্টাচার্য অবশ্য প্রকাশ্যে কিছু বলেননি। কিন্তু তাঁদের শ্রমজীবী ক্যান্টিনে উপস্থিতি নিয়ে চোটে গিয়েছেন শ্রীলেখারা। সিপিএমের সঙ্গ ত্যাগ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ২০২১ -এর ভোট পর্ব কিংবা তার আগে বা পরে লাল পতাকার হয়ে ঘাম ঝরানো শ্রীলেখা মিত্র, রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়রা। তাঁদের সাফ বক্তব্য, “হয় তাঁকে বেছে নিক নেতৃত্ব, নয় আমরা থাকবো।” তবে পরিশ্রমী অভিনেতাদের হারাতে নারাজ নেতৃত্বও।
কিন্তু দলের হয়ে পরিশ্রম করা ওই সব অভিনেতা-অভিনেত্রীদের কোনওভাবেই হাতছাড়া করতে নারাজ সিপিএম নেতৃত্ব। একুশের নির্বাচনের আগে একেবারে পথে নেমে লড়েছেন তাঁরা। ঘাম ঝরিয়েছেন। দুঁদে রাজনীতিবিদদের সঙ্গে টেক্কা দিয়ে ময়দান সামলেছেন। তাঁদের সঙ্গ ত্যাগ চান না সিপিএম নেতৃত্বও। সে কারণে তাঁদের সঙ্গে আলাদা করে আলোচনা করতে চান সিপিএম নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, দলের এক শীর্ষ নেতাকে শ্রীলেখা, রাহুলকে সঙ্গে কথা বলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি কথা বলে বিষয়টি দলকে জানাবেন।
শ্রমজীবী ক্যান্টিনের কর্মসূচিতে রূপা-অনিন্দ্যদের যোগদান কয়েকদিন ধরেই শ্রীলেখারা সরব রয়েছেন। কখনও নিজেরা মত সরাসরি দিয়েছেন, বা কখনও বা রূপাদের বিরুদ্ধে মুখ খোলা ব্যক্তিদের মন্তব্যকে সমর্থন করেছেন। ফলে দলের কর্মসূচিতে ভিন্ন দলে একদা থাকা টলিউডের সহকর্মীদের হাজির থাকা নিয়ে এখনও ‘রাগ-অভিমান’ নিয়ে রয়েছেন সিপিএম পন্থী বলে পরিচিত শ্রীলেখা-রাহুলরা।
ফলে তাঁদের অভিমান মেটানোই মূল লক্ষ্য সিপিএমের। একইসঙ্গে তাঁদের মনোভাবাপন্ন অন্য অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মতও শুনতে চান ৩৪ বছর এ রাজ্যের ক্ষমতায় থাকা দলের নেতৃত্ব। আরও পড়ুন: বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে এবার লখনউ-পাটনা-দিল্লি ও দেহরাদুনের দুঁদে কর্তারা, সিবিআই গড়ল ৪ টি দল