কলকাতা: এবার নম্বর-বিধি প্রকাশ করল আইসিএসই (ICSC), আইএসসি (ISC)। আইসিএসই-তে নবম ও দশম স্কুল পরীক্ষার ভিত্তিতে গড় নম্বর দেওয়া হবে। সঙ্গে চলতি বছরে আইসিএসই-র অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন হবে। একাদশ ও দ্বাদশের স্কুল পরীক্ষার ভিত্তিতে গড় নম্বর দেওয়া হবে আইএসসি-তে। সঙ্গে দশম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষার গড় নম্বর। যোগ হবে ২০২১-এর আইএসসি-র প্র্যাকটিক্যাল নম্বরও।
ভেঙে বলতে গেলে, ২০১৯-২০ এবং ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে কোনও পড়ুয়া স্কুলের নবম ও দশম শ্রেণির একাধিক পরীক্ষায় বিভিন্ন বিষয়ে যে সব নম্বর পয়েছে, তার গড় নম্বর নেওয়া হবে। সঙ্গে যোগ হবে চলতি বছরের আইসিএসই-র অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের নম্বর।
অন্যদিকে, আইএসসি-র ক্ষেত্রে ২০১৯-২০ এবং ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে কোনও পড়ুয়া স্কুলের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির একাধিক পরীক্ষায় বিভিন্ন বিষয়ে যে সব নম্বর পয়েছে, তার গড় নম্বর নেওয়া হবে। সঙ্গে যোগ হবে দশম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষার গড় নম্বর এবং ২০২১-এর প্রজেক্ট ও প্র্যাকটিক্যাল নম্বর। দুই ক্ষেত্রেই দেখা হবে স্কুলের গত ৫ বছরের বেস্ট রেজাল্ট।
তবে প্রশ্ন হচ্ছে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির বিভিন্ন স্কুলের প্রশ্নপত্রের মান বিভিন্ন। খাতা দেখার সময়েও একই রকম কড়াকড়ি থাকে না। সুতরাং তার ভিত্তিতে গড় নম্বরের মূল্যায়ন সত্যিই পড়ুয়ার মেধার প্রতি কতটা সুবিচার হবে? প্রশ্ন হচ্ছে। মূল্যায়নের ফর্মুলা তো প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু তাতে যা দাঁড়াচ্ছে, তাতে মুড়ি-মিছরি একাকার হয়ে যাবে না তো? শিক্ষামহলের একাংশের মতে গড় নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রে যা দাঁড়াচ্ছে, তাতে বিপুল সংখ্যক পরীক্ষার্থীর আশি শতাংশ কিংবা তারও বেশি নম্বর পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। আর তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন অভিভাবক থেকে পরীক্ষার্থীরা। পছন্দ মতো কলেজে পছন্দের বিষয় নিয়ে পড়া আদৌ যাবে কি? মেধার প্রতি সঠিক বিচার আদৌ হবে কি? তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।