কলকাতা: কলকাতা পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ মেয়র ফিরহাদ হাকিমের। ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার রক্ষণাবেক্ষণ ক্ষেত্রে পুলিশের গা ঢিলেমি নিয়ে সরাসরি অভিযোগ তুলে দিলেন তিনি। কলকাতার বুকে সিসিটিভি ক্যামেরাগুলি নিয়ে আমজনতার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। প্রয়োজনের সময় সেগুলি থেকে পর্যাপ্ত তথ্য পাওয়া যায় না বলে অতীতে বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ উঠে এসেছে। আর এবার খোদ কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমও মেনে নিলেন সিসিটিভি ক্যামেরার দুরাবস্থার কথা। কোনও রাখঢাক না রেখেই জানিয়ে দিলেন, শহর কলকাতার অর্ধেক ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরাই বিকল হয়ে রয়েছে। আর সেক্ষেত্রে কলকাতা পুলিশ কিংবা লালবাজারের কোনও হেলদোল নেই, তাও বুঝিয়ে দিলেন। সিসিটিভি ক্যামেরাগুলির ঠিকঠাক রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়ার জন্য সরাসরি প্রশ্ন তুলে দিলেন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে।
শহরের বিভিন্ন জায়গায় চুরির ঘটনা বাড়ছে বলেও এদিন জানালেন মেয়র। বিশেষ করে বিভিন্ন রাস্তা থেকে ম্যানহোলের ঢাকনা চুরি হয়ে যাচ্ছে, রাস্তার ধারে লাগানো গ্রিল চুরি হয়ে যাচ্ছে, সেসব কথা আজ নিজেই জানালেন ফিরহাদ। সঙ্গে এও জানালেন বিষয়গুলি পুলিশকে এর আগেও জানিয়েছেন তিনি। আর এরপরই বললেন, ‘সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়েছে পুলিশ। আমরাই টাকা দিয়েছিলাম। অর্ধেক সিসিটিভি ক্যামেরা চলছে না শহরে। রক্ষণাবেক্ষণ নেই। আজ সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়ে বিল হয়ে যাচ্ছে, কাল আর সেই সিসিটিভি ক্যামেরা চলছে কি না, তা দেখার কেউ নেই।’
উল্লেখ্য, সোমবার কলকাতা পুরনিগমের প্রাকপুজোর বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকে পুর আধিকারিকদের পাশাপাশি সিইএসসি, কলকাতা পুলিশ ও অন্য় দফতরের অফিসাররাও উপস্থিত ছিলেন। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, সেই বৈঠকেই উঠে আসে ম্যানহোলের ঢাকনা চুরির প্রসঙ্গ। তা নিয়ে আলোচনার সময়েই উঠে আসে, কেন সিসিটিভি ফুটেজগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে না। জানা যাচ্ছে, ওই সময়েই উঠে আসে সিসিটিভি ক্যামেরা অর্ধেকই বিকল হয়ে রয়েছে। আর তাতেই বেজায় অসন্তুষ্ট মেয়র।
বৈঠক শেষে এদিন সাংবাদিক বৈঠকেও তা গোপন করলেন না ফিরহাদ হাকিম। জানিয়ে দিলেন, পুরনিগমের বর্তমানে যে আর্থিক অবস্থা, তাতে বার বার রাস্তার ধারে রেলিং দেওয়া বা ম্যানহোলের ঢাকনা বসানো সম্ভব হচ্ছে না। পাশাপাশি এতে পুরনিগমের আর্থিক ক্ষতি তো হচ্ছেই এবং যারা এই কাণ্ড ঘটাচ্ছে, তারাও প্রশ্রয় পেয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন তিনি।