Kolkata Metro: খিদিরপুরে মেট্রো নিয়ে জটিলতার মাঝেই তামিলনাড়ু থেকে এল TBM, সুড়ঙ্গ খুঁড়তে আবারও হবে না তো বউবাজারের পুনরাবৃত্তি? কী বলছেন বিশেষজ্ঞ
Kolkata Metro: জোকা-এসপ্ল্যানেড মেট্রো করিডরে নয়া সম্প্রসারিত অংশের অনুমোদন মিলেছে ৩.৩ কিমি। যা হচ্ছে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত থেকে ইডেন গার্ডেন্স পর্যন্ত। জোকা থেকে ডায়মন্ড পার্ক পর্যন্ত। নতুন করে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে ডায়মন্ড পার্ক থেকে জোকা-পঞ্চাননতলা পর্যন্ত (৮.৮ কিমি) মেট্রো করিডর সম্প্রসারিত করার জন্য।

কলকাতা: জটিলতা কাটিয়ে মেট্রোর কাজে গতি এসেছিল জোকা-এসপ্ল্যানেড মেট্রো করিডরের বাকি থাকা অংশে। কিন্তু সেই গতি ফের স্তব্ধ হতে বসেছে। কারণ রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তে। খিদিরপুর মেট্রো স্টেশন নির্মাণ ঘিরে জটিলতা তৈরি হয়েছে। কারণ জমি দিচ্ছে না রাজ্য। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় ওই জায়গায় জমি দেওয়া সম্ভব নয় বলে মেট্রো কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য।
জুন মাসের মাঝামাঝি থেকে সুরঙ্গ কাটার জন্য নামতে চলেছে দেশের সবথেকে বড় টানেল বোরিং মেশিন। এই মেশিন ভূ -গর্ভে প্রবেশ করানোর জন্য খিদিপুর সেন্ট টমাস স্কুলের মাঠের পাশে প্রায় ১৭ ফুট গভীর একটি শাফ্ট তৈরি হয়েছে। প্রথম দফায় খিদিরপুর থেকে প্রথম ধাপে ১.৭ কিলোমিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গ কেটে ভিক্টোরিয়া পর্যন্ত পৌঁছনো হবে। তারপর ভিক্টোরিয়া থেকে পার্ক স্ট্রিট পর্যন্ত অংশে যাওয়ার জন্য ৯৫০ মিটার দীর্ঘ একটি সুড়ঙ্গ কাটা হবে।
পার্ক স্ট্রিট থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত অংশের সুড়ঙ্গটি অবশ্য টিবিএম–এর সাহায্যে কাটা হবে না। সেটা কাটা হবে পুরোনো ‘কাট অ্যান্ড কভার’ পদ্ধতিতে। প্রায় ১৬০০ কিলোমিটার দূরে থাকা তামিলনাড়ু থেকে এই ৯০ মিটার দীর্ঘ এবং ৬৫০ টন ওজনের দু’টি টানেল বোরিং মেশিন নিয়ে আসা হয়েছে। তবে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর বউবাজারের ভূ-গর্ভে যে ধরনের বিপত্তি ঘটেছিল, সেগুলি এড়ানোর জন্য সতর্ক থাকার কথা বলেছেন কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়াররা।
জোকা-এসপ্ল্যানেড মেট্রো করিডরে নয়া সম্প্রসারিত অংশের অনুমোদন মিলেছে ৩.৩ কিমি। যা হচ্ছে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত থেকে ইডেন গার্ডেন্স পর্যন্ত। জোকা থেকে ডায়মন্ড পার্ক পর্যন্ত। নতুন করে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে ডায়মন্ড পার্ক থেকে জোকা-পঞ্চাননতলা পর্যন্ত (৮.৮ কিমি) মেট্রো করিডর সম্প্রসারিত করার জন্য।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এত ভারী মেশিন দিয়ে মাটি খুড়লে বসতির কোনও সমস্যা হবে না তো? যেমনটা বউবাজারের ক্ষেত্রে হয়েছিল। এবারে খিদিরপুর থেকে ভিক্টোরিয়া পর্যন্ত প্রথম দফায় ও ভিক্টোরিয়া থেকে পার্কস্ট্রিট পর্যন্ত দ্বিতীয় দফায় নতুন ট্র্যাক বসানোর ক্ষেত্রে যে অত্যাধুনিক ভারী বোরিং মেশিন আনা হয়েছে, তাতে মাটির ক্ষতি হবে না তো? এ প্রসঙ্গে স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং পার্থপ্রতিম বিশ্বাস বলেন, “এমনভাবেই এই TBMগুলোকে কাজ করানো হয়, যাতে মাটির তলায় ১০ মিটার নীচে খোড়া হচ্ছে, তখন নিশ্চিত করতে হয়, মাটির ওপরে থাকা যে কোনও স্ট্রাকচারকে সুরক্ষিত করা। তাতে যেন ফাটল না আসে, বেঁকে না যায়। প্রত্যেকটা শহরের মাটির নিজস্ব বৈশিষ্ট্য রয়েছে। সেটা চিনেই TBM কাটতে কাটতে এগিয়ে যাবে, এটাই ইঞ্জিনিয়ারদের কাছে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ।” বউবাজার ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে, সেকথাও মনে করিয়ে দেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সাল থেকে প্রায় চারবার বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে বউবাজারের ভূগর্ভের একাধিক অংশ। আদৌও এই মেট্রো প্রকল্প সম্পন্ন হবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু, অত্যাধুনিক সরঞ্জাম ব্যবহার করে, নিজেদের পরিকল্পনা প্রতি ক্ষেত্রে বদলে অবশেষে বউবাজারের মাটির তলায় মেট্রো লাইন বসানোর কাজ শেষ হয়।





