কলকাতা: যে ‘ট্রেলর’ দেখাতে শুরু করেছিল প্রতিপদ, কার্যত তার ক্লাইম্যাক্স দেখাল ষষ্ঠী। হুজুকে মানুষের ভিড় দেখল তিলোত্তমা। ঠাকুর দেখার ভিড় কোন সীমা পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, তা দেখল শহর। মেট্রো কর্তৃপক্ষ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ষষ্ঠীর দিন কেবল মেট্রোতেই আট লক্ষ মানুষের ভিড় হয়েছে। অর্থাৎ আট লক্ষ মানুষ ষষ্ঠীর দিন মেট্রোয় যাতায়াত করেছেন। প্রতিপদে ভিড় হয়েছিল সাড়ে সাত লক্ষ মানুষ। ষষ্ঠীতে আট লক্ষ মানুষ।
কলকাতা মেট্রোর দেওয়া বিবৃতি অনুযায়ী, ভিড়ের নিরিখে সব থেকে বেশি এগিয়ে দমদম। ৮৩৪৯৮ জন যাত্রী দমদম থেকে যাতায়াত করেছেন, তারপরই কালীঘাট। সেখান থেকে যাতায়াত করেছেন ৬৬১৮১ জন। শোভাবাজার সুতানুটি মেট্রো স্টেশন থেকে যাতায়াত করেছেন ৪৯৮৭২ ও এসপ্লেনেডে যাত্রীর সংখ্যা ছিল ৪৬২৫৫।
মহালয়ার পর থেকেই ঠাকুর দেখতে শুরু করেছেন মানুষ। এখনও অষ্টম-নবমী বাকি। কী রূপ দেখবে তিলোত্তমা কে জানে! যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম মেট্রো। ট্রেনের পর মেট্রো ধরলেই সহজে পৌঁছে যাওয়া যাবে গন্তব্যে। এসপ্লেনেডে নেমে খাওয়া দাওয়া, কিংবা শোভাবাজার সুতানুটি থেকে উত্তর কলকাতার বনেদি বাড়ির পুজো-হপিং, আর কালীঘাটে নেমে ৬৪-র পল্লি, কিংবা ৬৮-র পল্লি। ভিড় বলে দিচ্ছে মানুষ যাচ্ছেন কোথায়?
মেট্রোর তরফে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সপ্তমী থেকে নবমী উত্তর-দক্ষিণ লাইনে সারা রাত থাকবে পরিষেবা। এই তিন দিন পূর্ব-পশ্চিম করিডোরে ট্রেন চলবে রাত ১২টা পর্যন্ত। যাত্রীদের সুরক্ষার জন্য একগুচ্ছ পদক্ষেপও করেছে মেট্রো রেল। কেবল ষষ্ঠীর দিনই ২৮৯টি মেট্রো চলেছে। যদি ষষ্ঠীতেই এই ভিড় থাকে, তাহলে বাকি তিন দিনে কী ভিড় দেখবে তিলোত্তমা, তারই রইল অপেক্ষা।