কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে পরিবহন সুবিধা দেওয়ার জন্য কলকাতা মেট্রো প্রতিবছর ৪৫০ কোটি টাকার বেশি লোকসান করছে। বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের প্রশ্নের উত্তরে এই তথ্য দিয়েছে রেল। তা সামনে আসতে একেবারে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বিজেপির দাবি, রাজ্য সরকারের উদাসীনতার অন্যতম ভুক্তভোগী কলকাতা মেট্রো। ধুঁকছে একের পর এক প্রকল্প। তাতেই হচ্ছে পাহাড়-প্রমাণ ক্ষতি।
২০২১ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত তথ্য দিয়েছে রেল। তাতেই দেখা যাচ্ছে ২০২১-২২ অর্থবর্ষে কলকাতা মেট্রোর ক্ষতি হয়েছে ৪৮৭.৩৭ কোটি, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে যা দাঁড়ায় ৪২৪.২৪ কোটি, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ক্ষতির পরিমাণ ৪৬৫.১১ কোটি টাকা। ক্ষতির কারণ বলতে গিয়ে একাধিক প্রকল্পের কথা তুলে ধরেছে কেন্দ্র। ঠিক কীভাবে, কেন রাজ্যের কারণেই এই বিশাল ক্ষতি তাও স্পষ্টভাবে লেখা হয়েছে।
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো করিডোরে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ থেকে তেঘরিয়া পর্যন্ত কাজের কথা শুরুতেই বলছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের দাবি, তেঘরিয়া(হলদিরাম) পর্যন্ত কাজের ব্যয় ৫০ঃ৫০ অনুপাতে রাজ্যের সঙ্গে করতে চেয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু তাতে সায় দেয়নি রাজ্য সরকার। অন্যদিকে নিউ গড়িয়া থেকে দমদম এয়ারপোর্ট লাইন ৩২ কিলোমিটারের। সেখানে ৯.৮ কিলোমিটার কাজ শেষ হলেও ২২.২ কিলোমিটার কাজ বিলম্বিত হচ্ছে। কেন্দ্রের দাবি, শ্লথ গতিতে কাজের কারণ ট্রাফিক অন্যত্র সরানোর অনুমতি দেয়নি রাজ্য সরকার। একই ছবি জোকা থেকে বিবাদীবাগ পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার লাইনে। এখানে আবার জমি জটের পিছনে রাজ্যের দিকেই আঙুল তুলছে কেন্দ্র।
নোয়াপাড়া থেকে বারাসাত পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটারের লাইন। এখানেও ১৫.১৬ কিলোমিটার রাস্তায় কাদে দেরির জন্য মাইকেল নগর থেকে বারাসত পর্যন্ত (৮.১২ কিমি) জায়গায় জমি জটের জন্য রাজ্যের দিকে উঠছে আঙুল। অন্যদিকে কলকাতা পৌরসভা থেকে দেওয়া জলের পাইপলাইন রাজ্য সরকার অন্যত্র সরাতে ব্যর্থ হওয়ার পিছনে বরানগর থেকে ব্যারাকপুর লাইনে কাজে দেরি হচ্ছে বলে দাবি কেন্দ্রের।