AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kudghat Incident: ঘোলাটে চোখ, বয়স্ক লোকটি ফ্লেক্স লাগাচ্ছিলেন, আচমকাই পকেট থেকে ধোঁয়া! বিকট শব্দে ফাটল মোবাইল…

Kolkata: পেটে হাত দিয়ে বসে চেঁচাতে থাকেন বিশ্বরঞ্জনবাবু। কোনওক্রমে তাঁকে তুলে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়া হয়।

Kudghat Incident: ঘোলাটে চোখ, বয়স্ক লোকটি ফ্লেক্স লাগাচ্ছিলেন, আচমকাই পকেট থেকে ধোঁয়া! বিকট শব্দে ফাটল মোবাইল...
জখম বিশ্বরঞ্জন সর্দার। ছবি দীপঙ্কর জানা।
| Edited By: | Updated on: Jan 10, 2022 | 9:32 PM
Share

কলকাতা: কাউন্সিলরের অফিসের বাইরে ফ্লেক্স লাগানোর কাজ করছিলেন এক ব্যক্তি। ভিতরেই বসেছিলেন এলাকার জনপ্রতিনিধি রত্না শূর। হঠাৎই দেখেন ওই ব্যক্তির পকেট থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। কিছু বলার আগেই বিকট শব্দ হয়। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন বয়স্ক ওই ব্যক্তি। পরে দেখা যায় পকেটে থাকা মোবাইল ফোন ফেটে এই দুর্ঘটনা। সোমবার কুঁদঘাট ব্যানার্জিপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।

আহত ওই ব্যক্তির নাম বিশ্বরঞ্জন সর্দার। এদিন বিশ্বরঞ্জনবাবু কলকাতা পুরসভার ১১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রত্না শূরের অফিসের বাইরে ফ্লেক্স লাগাচ্ছিলেন। সেই সময়ই কোনওভাবে তাঁর পকেটে থাকা মোবাইল ফোনটি ফেটে যায়। পেটের কাছে ক্ষত তৈরি হয়। একদিকে ভয় অন্যদিকে যন্ত্রণায় মাটিতে কার্যত পড়ে যান বয়স্ক ওই ব্যক্তি।

সঙ্গে সঙ্গে সেখানকার লোকজন তাঁকে তুলে এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যান। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে ছেড়েও দেওয়া হয়। আপাতত বাড়িতে সুস্থ আছেন বিশ্বরঞ্জন সর্দার। তবে আচমকাই এমন ঘটনায় তিনিও ভয় পেয়ে যান। একইসঙ্গে পেটের কাছে যেহেতু আঘাত লাগে, তাই যন্ত্রণাও রয়েছে।

কাউন্সিলর রত্না শূরের কথায়, সোমবার ঘরের ভিতরে বসে তিনি দেখছিলেন বিশ্বরঞ্জনবাবু ফ্লেক্স লাগাচ্ছেন। সাধারণত বুক পকেটে ফোন রেখে কাজ করেন তিনি। কিন্তু ফ্লেক্স লাগানোর সময় যদি ফোনটা পড়ে যায় সে কারণে প্যান্টের পকেটে সেটিকে ভরে রাখেন তিনি। এদিকে রত্না শূর হঠাৎ দেখেন, বিশ্বরঞ্জনবাবুর পকেট থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। এই দৃশ্য দেখে হতভম্ব হয়ে যান রত্না শূরও। চিৎকার করে ওঠেন তিনি।

রত্না শূর জানান, কিছু বলে ওঠার আগেই বিকট শব্দ শুনতে পান তিনি। একইসঙ্গে দেখেন বিশ্বরঞ্জন সর্দার মাটিতে লুটিয়ে পড়ছেন। বেরিয়ে এসে দেখেন মোবাইল ফোন ফেটে গিয়েছে। ব্যাটারির উপর দিকের অংশ একেবারে কালো হয়ে পুড়ে গিয়েছে। গলে গিয়েছে ফোনের পিছনের কভারটিও।

পেটে হাত দিয়ে বসে চেঁচাতে থাকেন বিশ্বরঞ্জনবাবু। কোনওক্রমে তাঁকে তুলে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়া হয়। পেটের পাশে মাংস কিছুটা ঝুলে গিয়েছিল। যদিও চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসার পরই ছেড়ে দেন। তবে পেটের অংশ এমনিতে নরম জায়গা। বয়সও বিশ্বরঞ্জন সর্দারের অনেকটাই। বড় কোনও বিপদ ঘটে যেতে পারত এদিন। আপাতত ভাল আছেন ওই ব্যক্তি।

আরও পড়ুন: Covid Bulletine: গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা কম, দৈনিক সংক্রমণের গ্রাফও নিম্নমুখী বাংলায়