Hookah Bar Raid: সাউথ সিটি মলে বেআইনি হুকা বারে পুলিশি হানা, গ্রেফতার একাধিক

Kolkata Police: ঘটনায় ইতিমধ্যেই চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার হওয়া ওই চার জন ছাড়াও সংশ্লিষ্ট হুকা বারের মালিকের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

Hookah Bar Raid: সাউথ সিটি মলে বেআইনি হুকা বারে পুলিশি হানা, গ্রেফতার একাধিক
হুকা বার (প্রতীকী ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 16, 2022 | 8:00 PM

কলকাতা: কলকাতার হুকা বারগুলি (Hookah Bar) বন্ধ করার জন্য আগেই নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা পুরনিগমের মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। তারপর থেকেই শহরের বিভিন্ন প্রান্তে পুলিশি নজরদারি চালানো হচ্ছে। অভিযান চালানো হচ্ছে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতেও শহরের বুকে একটি হুকা বারে অভিযান চালায় পুলিশ (Kolkata Police Raid)। সাউথ সিটি মলের পাঁচতলায় বেআইনিভাবে ওই হুকা বারটি চলছিল বলে অভিযোগ। ঘটনায় ইতিমধ্যেই চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার হওয়া ওই চার জন ছাড়াও সংশ্লিষ্ট হুকা বারের মালিকের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই কলকাতা পুলিশের গুন্ডাদমন শাখা অভিযান চালাচ্ছে বেআইনি হুকা বারগুলি বন্ধ করার জন্য। বিভিন্ন থানাগুলিও নিজের নিজের এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাতের ওই ঘটনায় ধৃত চার জনের নাম জাভেদ আহমেদ, প্রদীপ রানা, মহম্মদ আয়ুব এবং দুধকুমার সর্দার। এই চার জনই হুকা বারের কর্মী বলে জানা গিয়েছে। যাদবপুর থানার পুলিশ ওই চারজনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে। পাশাপাশি ওই হুকা বারের মালিক অঙ্কিত মধুপুরিয়ার বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

মেয়র ফিরহাদ হাকিম সম্প্রতি এক সাংবাদিক বৈঠকে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, এই হুকা বারগুলিতে নেশাজাতীয় জিনিস ব্যবহার হয়ে থাকতে পারে। যদিও এই বিষয়ে তাঁর কাছে কোনও প্রমাণ নেই বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, “পুলিশকে অনুরোধ করব সতর্ক হওয়ার জন্য। কয়েক জায়গা থেকে খবর এসেছে এটার মধ্যে দিয়ে মাদক ব্যবহার হচ্ছে।” অনেক জায়গাতেই আবার রেস্তোঁরাগুলির মধ্যে হুকাবার চালানো হচ্ছিল বলেও অভিযোগ উঠেছিল। এমন অবস্থায় বেআইনি হুকাবারগুলি বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। জানানো হয়েছিল, লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়া হবে।

শুধু কলকাতা পুরনিগমই নয়, এই একই পথে হেঁটেছে বিধাননগর পুরনিগমও। ডিসেম্বর মাসেই বিধাননগর পুরনিগমের তরফে পুলিশকে এই কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ফলে সল্টলেক চত্বরের বহু হুকা বারও বন্ধ হয়ে গিয়েছে।