কলকাতা: আগামী সেপ্টেম্বর মাসেই শেষ হতে চলেছে পোস্তা উড়ালপুলের প্রথম দফায় ভাঙার কাজ। গত কয়েক দিনের প্রবল বৃষ্টির জেরে কাজ এগোনো সম্ভব না হলেও কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছে সেপ্টেম্বরে কাজ শেষ হবে।
বুধবার থেকে টানা বৃষ্টিতে জেরবার গোটা রাজ্য। বৃষ্টিতে পিছিয়ে গিয়েছে পোস্তা উড়ালপুল ভাঙার কাজও। এ বছরই সিদ্ধান্ত হয়েছে, পোস্তা ফ্লাইওভার ভেঙে ফেলা হবে। ১৫ জুন থেকে ভাঙার কাজ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বেশ কিছুদিন পর থেকে তা শুরু হয়। প্রথম অংশ হিসেবে পোস্তা জংশন থেকে রবীন্দ্র সেতুর জংশন পর্যন্ত ভাঙার কাজ অগস্ট মাসেই শেষ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই অনুযায়ী বিভিন্ন রাজ্য থেকে যন্ত্র আনানোর কাজও শুরু হয়।
পোস্তার আশে পাশে বহু পুরনো বাড়ি থাকায় মুম্বই থেকে বিশেষ যন্ত্র আনা হয়েছে। রোবোটিক ব্রেকার নামের ওই যন্ত্র দিয়ে কাজ করলে কোনও কম্পন হয় না। তাই ক্ষতির সম্ভাবনাও কম। উড়ালপুল ভাঙার সময় বিশেষ কিছু সলিউশন ব্যবহার করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। তাতে কিছু অংশ ভাঙার প্রয়োজন হবে না। ঠিক ছিল এই মাসেই এই যন্ত্র দিয়ে পরীক্ষার পর কাজ শুরু হবে। কিন্তু বাধ সাধে বৃষ্টি। টানা বৃষ্টির জেরে কাজ করাই সম্ভব হয়নি। তবে কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ আশা করছে, রোদ উঠলে দ্রুত গতিতে কাজ এগোনো যাবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৩১ মার্চ সেই অভিশপ্ত দিন। যেদিন আচমকাই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছিল পোস্তা উড়ালপুল বা বিবেকানন্দ উড়ালপুল। মৃত্যু হয়েছিল ২৬ জনের। সেই স্মৃতি এখনও টাটকা। পোস্তা উড়ালপুল ভাঙার প্রথম অংশের কাজ সম্পন্ন হলে শুরু হবে দ্বিতীয় অংশ ভাঙার কাজ। গিরিশ পার্ক থেকে থেকে গণেশ টকিজ পর্যন্ত ভাঙা হবে দ্বিতীয় দফায়। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ছ’ মাসের মধ্যে সেই কাজ সম্পূর্ণ হবে। গোটা ফ্লাইওভার ভাঙতে মোট ১৫.৭৫ কোটি টাকা খরচ হবে। তবে নতুন ফ্লাইওভার তৈরির সম্ভাবনা ক্ষীণ বলেই সূত্রের খবর। আরও পড়ুন: দু’মাস পার করে খুলল কালীঘাট মন্দিরের গর্ভগৃহ, বৃষ্টি উপেক্ষা করেই সকাল থেকে ভক্তের ভিড়