ভিডিয়ো: হাসতে হাসতে পরপর গুলি! সিনেমাকে হার মানাবে বাঁশদ্রোণীর ঘটনা

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Sep 10, 2021 | 11:44 AM

Bansdroni Shootout: প্রদীপের বক্তব্য, নান্টির কথা মেনে না চলায় এই ঘটনা। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কোন কথা না শোনায় এই হামলা?

Follow Us

কলকাতা: কলাপসিবল গেট বন্ধ তখন। এপাশ থেকে চার-পাঁচেক যুবক তখন হাঁক ছেড়ে এক জনের নাম ধরে ডাকছে। তারপরই পকেট থেকে পিস্তল বার করে গেটের ফাঁকের মধ্যে দিয়ে হাত ঢুকিয়ে গুলি চালিয়ে দিলেন এক যুবক। তারপর যেন গুলি চালানোর ধুম লেগে গেল। আরও একজন একই কায়দায় গুলি চালালেন। তারপর আরও এক জন। যাঁরা গুলি চালাচ্ছিলেন, তাঁদের সঙ্গীদের মুখে আবার হাসি। যেন কোনও অ্যাকশন মুভির প্লট। কার্যত বাড়িতে ঢুকেই এক যুবককে গুলি করে গেলেন এলাকারই যুবকরা। খোদ কলকাতার বুকে ঘটে গেল এই রোমহর্ষক ঘটনা। বাঁশদ্রোণীর সোনালি পার্কে শ্যুটআউট। গোটা ঘটনাটি ধরা পড়েছে সিসিটিভিতে।

দুষ্কৃতীদের গুলিতে জখম হয়েছেন অভিষেক মুখোপাধ্যায় নামে এক যুবক। তাঁর ডান হাতে গুলি লেগেছে। তিনি বর্তমানে এস‌এসকে‌এমে ভর্তি। জানা গিয়েছে, যে বাড়িতে হামলা হয়েছে, সেই বাড়ি মালিকের নাম প্রদীপ দেবনাথ।

 

নিজস্ব চিত্র

তাঁর বয়ান অনুযায়ী, নান্টি ঘোষ নামে স্থানীয় এক দুষ্কৃতীর বড় ছেলে শুভ ঘোষ দলবল নিয়ে গুলি চালিয়েছেন। প্রদীপ দেবনাথের দাবি, দুষ্কৃতীদের কথা না শোনায় বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে ‘কাকা’ বলে বাড়ির বাইরে ডাকেন শুভ। প্রদীপ বেরোতেই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। গুলির আ‌ওয়াজ শুনে অভিষেক বেরিয়ে আসেন। সেই সময় শুভর দলের ছেলের গুলি চালালে অভিষেকের ডান হাতে গুলি লাগে।

প্রদীপের বক্তব্য, নান্টির কথা মেনে না চলায় এই ঘটনা। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কোন কথা না শোনায় এই হামলা? জানা গিয়েছে, প্রমোটিং নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা দীর্ঘদিনের। এলাকায় কার আধিপত্য বাড়বে, তা নিয়ে লড়াই সবসময়ই ছিল। প্রোমোটিং সংক্রান্ত বিবাদের জেরে হামলা বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশেরও। যদিও নান্টি ঘোষেদের তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

এর আগে ২৩ অগস্ট বেহালার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে গুলি চলে। একই জায়গায় গুলি চলে জুলাই মাসেও। সেবার গুলি চলে তৃণমূল নেতার ফ্ল্যাটের জানলায়। চার রাউন্ড গুলি চলে বলে অভিযোগ তৃণমূল নেতার।

রবিবার রাতের ঘটনা। স্থানীয় তৃণমূল নেতা রূপক গঙ্গোপাধ্যায়ের অভিযোগ, তাঁর ফ্ল্যাটের জানলা লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। তাঁর বয়ান অনুযায়ী, রবিবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ বেশ কয়েক জন এসে তাঁকে ডাকাডাকি করে। তারপর তাঁর ফ্ল্যাটের জানলা লক্ষ্য করে চার রাউন্ড গুলি চালায়।

তবে কারা এ কাজ করেছে, তা স্পষ্ট করে বলতে পারছেন না তিনি। কী কারণে এই গুলি চালিয়েছে, তা তিনি এখনও পর্যন্ত বুঝতে পারছেন না। ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে রয়েছেন তৃণমূল নেতা। তাঁর পরিবারের সদস্যরা ভয়ে ঘর থেকে বেরোচ্ছেন না।

যদিও স্থানীয় তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাস্কর সেন বলে এক ব্যক্তি এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। গত দু’মাস আগেও ১২১ নম্বর ওয়ার্ডে গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনায় এই ভাস্কর সেনের নাম জড়িয়েছিল। এখনও অবশ্য সেই ঘটনার কিনারা করতে পারেনি বেহালা থানার পুলিশ।  তার আগে ১৬ অগস্ট পার্কস্ট্রিটে শুটআউট হয়।

আরও পড়ুন: কীভাবে কুকুরের বেল্ট দিয়ে স্ত্রীকে খুন করেন বিপ্লব? ঘটনার পুনর্নিমাণে ধৃতের ফ্ল্যাটেই গোয়েন্দারা

আরও পড়ুন: তৃণমূলের সালিশি সভায় বিজেপি কর্মীকে জমি লিখে দেওয়ার নিদান, না মানায় ভয়ঙ্কর ‘খেসারত’!

কলকাতা: কলাপসিবল গেট বন্ধ তখন। এপাশ থেকে চার-পাঁচেক যুবক তখন হাঁক ছেড়ে এক জনের নাম ধরে ডাকছে। তারপরই পকেট থেকে পিস্তল বার করে গেটের ফাঁকের মধ্যে দিয়ে হাত ঢুকিয়ে গুলি চালিয়ে দিলেন এক যুবক। তারপর যেন গুলি চালানোর ধুম লেগে গেল। আরও একজন একই কায়দায় গুলি চালালেন। তারপর আরও এক জন। যাঁরা গুলি চালাচ্ছিলেন, তাঁদের সঙ্গীদের মুখে আবার হাসি। যেন কোনও অ্যাকশন মুভির প্লট। কার্যত বাড়িতে ঢুকেই এক যুবককে গুলি করে গেলেন এলাকারই যুবকরা। খোদ কলকাতার বুকে ঘটে গেল এই রোমহর্ষক ঘটনা। বাঁশদ্রোণীর সোনালি পার্কে শ্যুটআউট। গোটা ঘটনাটি ধরা পড়েছে সিসিটিভিতে।

দুষ্কৃতীদের গুলিতে জখম হয়েছেন অভিষেক মুখোপাধ্যায় নামে এক যুবক। তাঁর ডান হাতে গুলি লেগেছে। তিনি বর্তমানে এস‌এসকে‌এমে ভর্তি। জানা গিয়েছে, যে বাড়িতে হামলা হয়েছে, সেই বাড়ি মালিকের নাম প্রদীপ দেবনাথ।

 

নিজস্ব চিত্র

তাঁর বয়ান অনুযায়ী, নান্টি ঘোষ নামে স্থানীয় এক দুষ্কৃতীর বড় ছেলে শুভ ঘোষ দলবল নিয়ে গুলি চালিয়েছেন। প্রদীপ দেবনাথের দাবি, দুষ্কৃতীদের কথা না শোনায় বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে ‘কাকা’ বলে বাড়ির বাইরে ডাকেন শুভ। প্রদীপ বেরোতেই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। গুলির আ‌ওয়াজ শুনে অভিষেক বেরিয়ে আসেন। সেই সময় শুভর দলের ছেলের গুলি চালালে অভিষেকের ডান হাতে গুলি লাগে।

প্রদীপের বক্তব্য, নান্টির কথা মেনে না চলায় এই ঘটনা। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কোন কথা না শোনায় এই হামলা? জানা গিয়েছে, প্রমোটিং নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা দীর্ঘদিনের। এলাকায় কার আধিপত্য বাড়বে, তা নিয়ে লড়াই সবসময়ই ছিল। প্রোমোটিং সংক্রান্ত বিবাদের জেরে হামলা বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশেরও। যদিও নান্টি ঘোষেদের তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

এর আগে ২৩ অগস্ট বেহালার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে গুলি চলে। একই জায়গায় গুলি চলে জুলাই মাসেও। সেবার গুলি চলে তৃণমূল নেতার ফ্ল্যাটের জানলায়। চার রাউন্ড গুলি চলে বলে অভিযোগ তৃণমূল নেতার।

রবিবার রাতের ঘটনা। স্থানীয় তৃণমূল নেতা রূপক গঙ্গোপাধ্যায়ের অভিযোগ, তাঁর ফ্ল্যাটের জানলা লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। তাঁর বয়ান অনুযায়ী, রবিবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ বেশ কয়েক জন এসে তাঁকে ডাকাডাকি করে। তারপর তাঁর ফ্ল্যাটের জানলা লক্ষ্য করে চার রাউন্ড গুলি চালায়।

তবে কারা এ কাজ করেছে, তা স্পষ্ট করে বলতে পারছেন না তিনি। কী কারণে এই গুলি চালিয়েছে, তা তিনি এখনও পর্যন্ত বুঝতে পারছেন না। ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে রয়েছেন তৃণমূল নেতা। তাঁর পরিবারের সদস্যরা ভয়ে ঘর থেকে বেরোচ্ছেন না।

যদিও স্থানীয় তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাস্কর সেন বলে এক ব্যক্তি এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। গত দু’মাস আগেও ১২১ নম্বর ওয়ার্ডে গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনায় এই ভাস্কর সেনের নাম জড়িয়েছিল। এখনও অবশ্য সেই ঘটনার কিনারা করতে পারেনি বেহালা থানার পুলিশ।  তার আগে ১৬ অগস্ট পার্কস্ট্রিটে শুটআউট হয়।

আরও পড়ুন: কীভাবে কুকুরের বেল্ট দিয়ে স্ত্রীকে খুন করেন বিপ্লব? ঘটনার পুনর্নিমাণে ধৃতের ফ্ল্যাটেই গোয়েন্দারা

আরও পড়ুন: তৃণমূলের সালিশি সভায় বিজেপি কর্মীকে জমি লিখে দেওয়ার নিদান, না মানায় ভয়ঙ্কর ‘খেসারত’!

Next Article