কলকাতা: নিমতলা ঘাট স্ট্রিটে ভয়াবহ আগুন। একটি কাঠের গুদামে আগুন লেগেছে বলে খবর। ঘিঞ্জি এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রথমে আগুনের ফুলকি দেখতে পান। প্রথমে স্থানীয় বাসিন্দারাই আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। তবে দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়তে থাকে দ্রুত। খবর যায় দমকলে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ঘটনাস্থলে রয়েছে দমকলের ১৮ টি ইঞ্জিন। দ্রুত আগুন নেভানোর চেষ্টা চলছে। তবে সরু রাস্তায় গাড়ি ঢোকাতে সমস্যায় পড়তে হয়েছে দমকলকর্মীদের। কী কারণে আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, শর্ট সার্কিটের জেরে আগুন। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। আগুন পাশের একটি গুদামেও ছড়িয়ে পড়েছে বলে খবর।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকাল সাড়ে সাতটা থেকে পৌনে আটটার মধ্যে আগুনের ফুলকি দেখা যায়। একটি বাড়ির দোতলায় আগুন লাগে। নীচের তলাটি কাঠ গোলা। দোতলায় কয়েকটি পরিবার বাস করে। সকালে বাড়ির বাসিন্দারাই প্রথমে কালো ধোঁয়া দেখতে পান।
বাড়ির বাসিন্দারা তখন চিত্কার চেঁচামেচি করতে থাকেন। স্থানীয়রা চিত্কার শুনে তাঁদের ঘর থেকে কোনওক্রমে বার করে আনেন। বারান্দা দিয়েই তাঁদেরকে নামিয়ে আনা হয় বলে খবর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে প্রাথমিকভাবে পৌঁছয় দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন। কিন্তু দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়তে থাকে দ্রুত। কালো ধোঁয়ায় গোটা এলাকা ছেয়ে যায়।
কুণ্ডলীকৃত আগুনের শিখা চোখের সামনেই বাড়ির দোতলাকে কার্যত গিলে খায়। ওই এলাকা মূলত ঘিঞ্জি। পাশে বস্তি রয়েছে। ফলে আরও বড় বিপদের আশঙ্কা রয়েছে। দমকল কর্মীরা তত্পরতার সঙ্গে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন। চারদিক থেকে জল দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন। তবে গোটা এলাকায় ছাইয়ে ভরে গিয়েছে।
এক প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, “কী থেকে যে আগুন লাগল বোঝা যাচ্ছে না। আমরা প্রথমে চিত্কার শুনতে পাই। দোতলায় তখন অনেকেই আটকে রয়েছেন। পাড়ার সব লোক কোনওভাবে তাঁদেরকে বার করে আনেন। কিন্তু আগুনের শিখা তখন গ্রাস করেছে অনেকটাই। আমরা যে কীভাবে উদ্ধার করেছি সে আমরাই জানি। তবে ঘিঞ্জি এলাকা তো, পাশে বস্তি। বিপদ রয়েছে।”
আরেক প্রতিবেশীর কথায়, “ধোঁয়ায় গোটা এলাকা ঢেকে গিয়েছে। চোখ জ্বালা করছে। অনেকের তো শ্বাস নিতেও সমস্যা হচ্ছে। বাড়ির মধ্যে অনেকে আটকে পড়েছিলেন। ভাগ্যিস সবাইকে বার করা সম্ভব হয়েছে। কারোর কোনও বিপদ হয়নি।”
দমকলকর্মীরা বলেন, “ঘিঞ্জি এলাকায় বিপদ রয়েছে বটে। তবে তত্পরতার সঙ্গে আগুন নেভানোর চেষ্টা চলছে। নীচে কাঠের গুদাম। তাই আগুন দ্রুত ছড়াচ্ছে। সরু রাস্তায় ইঞ্জিন ঢোকাতেও সমস্যায় পড়তে হয়েছিল।”
আরও পড়ুন: কীভাবে কুকুরের বেল্ট দিয়ে স্ত্রীকে খুন করেন বিপ্লব? ঘটনার পুনর্নিমাণে ধৃতের ফ্ল্যাটেই গোয়েন্দারা
আরও পড়ুন: তৃণমূলের সালিশি সভায় বিজেপি কর্মীকে জমি লিখে দেওয়ার নিদান, না মানায় ভয়ঙ্কর ‘খেসারত’!