কলকাতা: বেলেঘাটায় ঢুকতে গেলে আগে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে জানাতে হবে। ঠিক এমনটাই মুচলেখা দিয়ে ছাড়া পেলেন শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক মইদুল ইসলাম।
রবিবার সন্ধ্যায় বেলেঘাটার ‘নন্দী হাউজ়’ থেকে আটক করা হয় শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক মইদুল ইসলামকে। শুধু মইদুলই নয়, আটক করা হয় শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের ৬ জন শিক্ষিকাকেও।
বেতনবৃদ্ধির দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করছেন শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের সদস্যরা। আর তার জেরেই সংগঠনের একাধিক নেতাকে উত্তরবঙ্গে বদলির অভিযোগ ওঠে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। ঐক্যমঞ্চ সূত্রের খবর, ৬ জন শিক্ষিকা-সহ মইদুলকে উত্তরবঙ্গে বদলি করা হয়। সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আজ, সোমবার আদালতে মামলা দায়ের করার কথা ছিল মইদুলদের।
চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বদলির প্রতিবাদে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত্ করতে চেয়েছিলেন মইদুল। তাঁর সাক্ষাত্ না পেয়ে আজ ব্রাত্য বসুর বাড়ি ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ছিল মইদুল ইসলাম তথা শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের। কিন্তু গতকাল সন্ধেবেলাই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মইদুলকে আটক করে বেলেঘাটা থানার পুলিশ। তার পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযোগ, ওই ৬ শিক্ষিকাকেও রাতে হোটেলেবন্দি রেখে সকালে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়।
মইদুলের স্ত্রী বলেন, “যে শিক্ষিকাদের অনৈতিকভাবে ট্রান্সফার করা হয়েছে, তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল ও। বেলেঘাটা নন্দী হাউজ় থেকে পুলিশ মইদুলকে নিয়ে যায়। লক আপে ঢুকিয়ে দেয়। কী কারণে নিয়ে গেলো কিছু বলেনি পুলিশ। আমার সঙ্গে পুলিশ অত্যন্ত খারাপ ব্যবহার করেছে।”
রাতভর লকআপেই ছিলেন মইদুল। সকালে তাঁঁকে মুচলেখা দিতে হয়। মইদুল বলেন, পুলিশের কাছে তাঁকে একটি মুচলেখা দিতে হয়েছে। কোনও শিক্ষিকা বেলেঘাটার কোনও হোটেলে থাকতে পারবেন না। পুলিশের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তাঁর আরও অভিযোগ, রাতভর তাঁকে খেতে পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। মইদুলকে এই বিবৃতির পর সংগঠনের কর্মসূচি আরও জোরালো হবে বলেই মনে করছেন মুক্ত মঞ্চের সদস্যরা। আরও পড়ুন: ‘স্থানীয় বাসিন্দারাই চাইছেন, জনপ্রতিনিধি হিসাবে সে দাবি তুলে ধরছেন আমাদের নেতারা’, বঙ্গভঙ্গ ইস্যুতে দিলীপ