কলকাতা: পার্কস্ট্রিটে সোনার বিস্কুট-সহ গ্রেফতার ১। ১২টি সোনার বিস্কুট সহ গ্রেফতার হাফিজুল শেখ। হাফিজুলকে গ্রেফতার করেছে এসটিএফ। বাজেয়াপ্ত সোনার বিস্কুটের বাজার মূল্য ৬৮ লক্ষ টাকা। একটি ব্যাগে বিস্কুট পাচার হচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে।
তদন্তকারীদের কাছে আগে থেকেই খবর ছিল। সেই মতো নজর রেখেছিলেন তাঁরা। হাফিজুলকে দেখে মনে হচ্ছিল অফিস যাত্রী। তাঁর সঙ্গে ছিল ব্যাগ। সন্দেহ হওয়ায় পার্কস্ট্রিটে তাঁকে আটকান তদন্তকারীরা। এরপর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কথার জালে কিছুটা ঘাবড়ে যান হাফিজুল। ব্যাগে তল্লাশি করতেই উদ্ধার হয় সোনার বিস্কুট।
প্রসঙ্গত, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কিছুদিন আগেই সাফল্য পেয়েছিল বিএসএফ। সীমান্তে গ্রেফতার করা হয় গোপাল সরকার নামে এক সোনার বিস্কুট পাচারকারিকে। উদ্ধার ১১ টি সোনার বিস্কুট, সাইকেল। উদ্ধার হওয়ায় সোনার বিস্কুটের ওজন ১ কেজি ৭০০ গ্রাম।
সেদিন বসিরহাটের ভারত-বাংলাদেশ ঘোজাডাঙ্গা সীমান্তের উত্তরপাড়ায় বিএসএফের ১৫৩ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের জওয়ানরা তল্লাশি চালাচ্ছিলেন। বছর ৪৬-এর গোপাল সরকার সে সময় একটি ব্যাগ সাইকেলের হ্যান্ডেলে ঝুলিয়ে যাচ্ছিলেন। তাঁর পথ আটকান জওয়ান। রুটিনমাফিক প্রশ্ন করেন। কথায় অসঙ্গতি থাকায় সন্দেহ হয়।
তাঁর ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় সোনার বিস্কুট। গোপালের কাছ থেকে ১১টি সোনার বিস্কুট, একটি সাইকেল ও ভারতীয় ১৪০০ টাকা উদ্ধার হয়েছে। জেরায় জানা গিয়েছে, গোপালের বাড়ি পার্শ্ববর্তী পানিতর গ্রামে। তাঁর সঙ্গে আন্তর্জাতিক সোনা পাচারের যোগসূত্র রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
১৫৩ নম্বর ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার জহর সিং বলেন, “এগুলি অন্য দেশ থেকে বাংলাদেশ হয়ে এদেশে ঢুকেছে। এর সঙ্গে স্থানীয় দালাল চক্রের যোগসূত্র আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” উদ্ধার হওয়া সোনার বিস্কুট, সাইকেল ও নগদ টাকা ঘোজাডাঙ্গা শুল্ক দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি অভিযুক্ত সোনা পাচারকারীকে বসিরহাট থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। কোথা থেকে এত সোনার বিস্কুট এল, তা তদন্ত শুরু করছে বিএসএফ। এদিকে, আবারও খোদ কলকাতার বুকে গ্রেফতার সোনার বিস্কুট পাচারকারী। এই ব্যক্তি কোন চক্রের সঙ্গে জড়িত, মাথা কারা, তার খোঁজ করছেন তদন্তকারীরা। আরও পড়ুন: ত্রিপুরা কাণ্ডের বদলা নিতেই কি সজল ঘোষের গ্রেফতারি? কী ইঙ্গিত দিলেন দিলীপ ঘোষ