টুইটে ‘আইনি’ পরামর্শ ‘পূর্বসূরীকে’, বিজেপিতে মুকুলের জায়গা নিতে পারেন স্বপন দাশগুপ্ত
কুল রায় এখন বিজেপি অন্দরে সবচেয়ে বড় কাঁটা! একুশের নির্বাচনের প্রাক্কালে যখন ঢালাও দলবদলের মরসুম চলছিল, তখন মুকুল রায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাননি।
কলকাতা: ‘বিজেপি বিধায়কের পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে মুকুল রায়কে (Mukul Roy)।’ এবার টুইটে দাবি তুললেন বিজেপি নেতা (Bengal BJP) স্বপন দাশগুপ্ত (Swapan Dasgupta)। তিনি লিখেছেন, “তৃণমূলে যাওয়া নিয়ে তো বিতর্ক নেই। কিন্তু আইন অনুযায়ী বিজেপি বিধায়ক হিসাবে পদত্যাগ করতে হবে তাঁকে।”
Last week Mukul Roy joined AITC in presence of @MamataOfficial. There was no ambiguity over his defection. Politics will take its course, but law demands he resign as MLA elected on BJP symbol. Let him follow his own course of resigning from Rajya Sabha in 2017 before joining BJP
— Swapan Dasgupta (@swapan55) June 18, 2021
এদিকে, বিজেপিতে থাকাকালীন মুকুলের পদ অর্থাৎ বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির পদ এখন ফাঁকা। সূত্রের খবর, ওই পদে বসতে পারেন স্বপন দাশগুপ্ত। একুশের নির্বাচনে হুগলির তারকেশ্বর আসন থেকে বিজেপির হয়ে লড়াই করেছিলেন তিনি। সে কারণে রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফাও দিয়েছিলেন। নির্বাচনে হারের পর তাঁকে আবারও রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে মনোনীত করে দেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।
মুকুল রায় এখন বিজেপি অন্দরে সবচেয়ে বড় কাঁটা! একুশের নির্বাচনের প্রাক্কালে যখন ঢালাও দলবদলের মরসুম চলছিল, তখন মুকুল রায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাননি। তিন বছর আগে তিনি যখন গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান, তখন বাংলায় বিজেপি ২০১৯ এর সাফল্য দেখেনি। দলের কেন্দ্রীয় নেতারা ভেবেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ, ভোট বুঝদার-দক্ষ সংগঠককে দলে নিলে লাভ বিস্তর।
আরও পড়ুন: পদ্মে সমান্তরাল বিভাজন? ‘TMC Setting Master’ কৈলাসের বিরুদ্ধে এবার শহর জুড়ে পোস্টার
সঙ্ঘ পরিবারের ঘনিষ্ঠদের আপত্তি থাকলেও বিজেপির শীর্ষ নেতাদের সিলমোহরে তা ধোপে টেকে নি। এখন মুকুল দল ছাড়ার পর বিজেপি অন্দরেই তাঁকে নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তথাগত রায় টুইট করে লিখেছেন, “মুকুল রায় ছিলেন ট্রয়ের ঘোড়া। বিজেপির কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতাদের সঙ্গে ওঠাবসা করে, ভিতরের সব কথা জেনে চলে গেলেন আর মমতাকে সব জানিয়ে দিলেন।” বিশ্লেষকরা বলছেন, তথাগত রায় আসলে ট্রয়ের ঘোড়ার প্রসঙ্গ উত্থাপন করে তাঁর দলেরই কেন্দ্রীয় নেতাদের দূরদর্শিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এবার কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব পদের দায়িত্ব দেওয়ার আগে ভেবেচিন্তেই মুখ মনোনীত করবে।