AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

শপথ গ্রহণের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বাংলায় কেন্দ্রীয় দল! নতুন সরকার গঠনের শুরুতেই কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত তুঙ্গে

ভোট পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence) নিয়ে ইতিমধ্যেই শাসকদলকে দুষে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্র্কের পাঠানো প্রতিনিধি দলকে নালিশ জানিয়ে এসেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh )।

শপথ গ্রহণের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বাংলায় কেন্দ্রীয় দল! নতুন সরকার গঠনের শুরুতেই কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত তুঙ্গে
ছবি- পিটিআই
| Updated on: May 07, 2021 | 12:29 PM
Share

কলকাতা: শপথগ্রহণের পরই রাজ্য়ের নতুন সরকারের সঙ্গে সংঘাতে কেন্দ্র। ভোট পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence) নিয়ে ইতিমধ্যেই শাসকদলকে দুষে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্র্কের পাঠানো প্রতিনিধি দলকে নালিশ জানিয়ে এসেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh )।

বাংলার ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক আগেই একটি রিপোর্ট চেয়েছিল। মুখ্যসচিবের কাছে চাওয়া হয়েছিল সেই রিপোর্ট। কিন্তু সেই রিপোর্ট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক পায়নি। মুখ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবারই নবান্নে বসে বলেছেন, নির্বাচন পরবর্তী হিংসায় বাংলায় ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে দুটি টিম পাঠানো হয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বিশেষ দল ও মহিলা কমিশনের চার সদস্যের প্রতিনিধি দল। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছে।

বৃহস্পতিবারই কেন্দ্রীয় দল বৈঠক করেছে নবান্নে। শুক্রবার সকালে ফের রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়েই। কেন্দ্রীয় দলের নেতৃত্বে রয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের জয়েন্ট ডিরেক্টর পদমর্যাদার এক জন আধিকারিক, আইবি, সিবিআই-এর এক জন করে আধিকারিক ও সিআরপিএফের ইন্টেলিজেন্স পদমর্যাদার এক জন কর্তা। গোটা বিষয়টি রিপোর্ট আকারে তুলে ধরা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাতে কেন্দ্রীয় দল গিয়েছে ভাটপাড়া-জগদ্দল এলাকায়। আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলেছেন তাঁরা। আরও হিংসা বিধ্বস্ত এলাকায় ঘুরে দেখবেন তাঁরা। উল্লেখ্য, প্রত্যেক ক্ষেত্রেই পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে।

তবে শপথগ্রহণের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কেন্দ্রীয় দল আসাকে কটাক্ষ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “নির্বাচনের পর সবসময়ই কিছু অশান্তি হয়। সেটা যাতে না হয় তাই ক্ষমতায় আসার পরই আমি কড়া পদক্ষেপ করেছিলাম। সবাইকে শান্তির বার্তা দিয়েছিলাম। সেলিব্রেশন বন্ধ করে দিয়েছিলাম। ২৪ ঘণ্টাও একটা সরকারের হয়নি, তার মধ্যেই লেটার চলে আসছে, টিম চলে আসছে, মিনিস্টার চলে আসছে…আমি বিজেপিকে বলব সংযত হোন। মানুষের রায় মেনে নিন। এখনও মানুষের রায় মানতে পারেনি বলে জিনিসগুলো হচ্ছে।”

আরও পড়ুন: ফোন করলেই অক্সিজেন নিয়ে বাড়িতে ছুটবে অ্যাম্বুলেন্স, আজ থেকে শহরে ‘অক্সিজেন অন হুইলস’

এ প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশ্লেষক বিশ্বনাথ চক্রবর্তী বলছেন, রাজ্য ও কেন্দ্রের চাপানউতোর সম্পর্ক, সংঘাতের শিকার হয়ে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। আশা করা যায়, নতুন সরকার রাজধর্ম পালন অবশ্যই করবে। তবে বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসাও চিন্তার বিষয়।