Weather Update: ২৬ তারিখ থেকেই আসছে দুর্যোগ, ২৮ তারিখ বেশি বিপদ! কোন কোন জেলাকে সতর্ক করল নবান্ন?
Weather Update: ঘূর্ণাবর্তটি শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপে পরিণত হবে। বাংলার অপর ঘূর্ণাবর্ত আসতে পারে ২৮ সেপ্টেম্বর। দক্ষিণ চিন সাগর থেকে আসবে দুটি ঘূর্ণাবর্ত।
কলকাতা: বঙ্গোপসাগরে ফের নিম্নচাপের আশঙ্কা (Weather Update)। নিম্নচাপের অভিমুখ হতে পারে ওড়িশা। রবিবার থেকে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করল নবান্ন। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বাংলার দিকে এগোবে জোড়া ঘূর্ণাবর্ত। অভিমুখ বাংলা-ওড়িশা অভিমুখ। বাংলায় একটি ঘূর্ণাবর্ত আসবে ২৬ সেপ্টেম্বর। ঘূর্ণাবর্তটি শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপে পরিণত হবে। বাংলার অপর ঘূর্ণাবর্ত আসতে পারে ২৮ সেপ্টেম্বর। দক্ষিণ চিন সাগর থেকে আসবে দুটি ঘূর্ণাবর্ত।
হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি ঘূর্ণাবর্ত আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর, অন্যটি ২৮ সেপ্টেম্বর আসতে পারে। বিশেষ করে দ্বিতীয় ঘূর্ণাবর্তটি আরও বেশি শক্তি নিয়ে আছড়ে পড়তে পারে বঙ্গে। পুজোর মুখে জোড়া ঘূর্ণাবর্তই আসবে দক্ষিণ চিন সাগর থেকে। আবহাওয়া দফতরের সেই পূর্বাভাস মাথায় রেখেই নবান্ন এই সতর্কতা জারি করল।
কলকাতা থেকে নিম্নচাপ ক্রমশ দূরে সরে গেলেও তার লেজের ধাক্কায় বুধবার দুপুর থেকেই কলকাতা এবং তার পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এমনিতেই জেলাগুলিতে চাষের জমি জলের তলায়। ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কায় ঘুম উড়েছে চাষিদের। কাঁচা রাস্তা, মাটির বাঁধেরও প্রবল ক্ষতি হচ্ছে গ্রামগুলিতে। তবে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি মুর্শিদাবাদ এই সমস্ত জেলায় বৃষ্টির পরিমাণ কম হবে। তবে বজ্রগর্ভ মেঘ সঞ্চার করে বৃষ্টি হবে হালকা থেকে মাঝারি। উত্তর বঙ্গোপসাগরে হওয়া ঘূর্ণাবর্ত এবং মৌসুমী অক্ষরেখা প্রবলভাবে সক্রিয়। আর তার জেরেই দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রামে ভারী বৃষ্টি হবে।
দুদিনের টানা বর্ষণে জল জমেছে শহরের একাধিক জায়গায়। টালিগঞ্জ সার্কুলার রোড, তারাতলা, ভবানীপুর, মিন্টো পার্ক, ক্যামাক স্ট্রিট জল থই থই। ঠনঠনিয়া, ক্য়ামাক স্ট্রিট, মিন্টো পার্ক, ঠনঠনিয়া, কলেজ স্ট্রিট, সেক্টর ফাইভ, চিনার পার্ক, কাঁকুড়গাছি, কৈখালি এলাকা জলমগ্ন। সোমবার কার্যত সারা দিনই পাম্প চালিয়ে জল গঙ্গায় ফেলা হয়েছে। গঙ্গায় জলের স্তর বাড়তে শুরু করেছে। শহরের নিকাশি নালার জল কীভাবে গঙ্গা দিয়ে বের করবে, তা নিয়ে রীতিমতো সংশয়ে কলকাতা পুর প্রশাসন।
শহরের চিত্র দেখেই ভয় পাচ্ছেন পুরকর্তারা। করোনা, অজানা জ্বর তো রয়েইছে, এরইমধ্যে ডেঙ্গির আতঙ্কও নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। ফলে চিন্তায় স্বাস্থ্য কর্তারাও। জমা জলের বহর দেখে ডেঙ্গি আতঙ্কে বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মীরা। আলিপুরের বেসরকারি হাসপাতালের জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগ-সহ হাসপাতাল চত্বরের সর্বত্র দু’দিন ধরে জল জমে রয়েছে। জমা জল ঠেলে জরুরি বিভাগে রোগী ভর্তি করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন রোগীর পরিজনেরা। কোনও প্রত্যন্ত এলাকায় নয়। শহর কলকাতার নিকাশি ব্যবস্থার এই হাল দেখে শিউরে উঠছেন চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মীরা।
আরও পড়ুন: Kolkata Dengue Death: সপ্তাহে দুই! ফের শহরে ডেঙ্গির কোপে মৃত্যু