কলকাতা: অনশন বন্ধ করা তো দূরের কথা, চিকিৎসকদের আন্দোলনের ঝাঁঝ ক্রমশ বাড়ছে। এবার রাজ্য সরকারকে ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। আগামী সোমবারের মধ্যে দাবিপূরণ না হলে মঙ্গলবার সরকারি-বেসরকারি স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন তাঁরা। সিনিয়র ও জুনিয়র চিকিৎসকেরা একযোগে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে সেই চিকিৎসকদের ধর্মঘটের পথে না যাওয়ার আর্জি জানালেন কুণাল ঘোষ। তাঁর মতে, ধর্মঘটের পথে যাওয়ার অর্থ হল রাজনীতির পথে হাঁটা।
হাসপাতালের নিরাপত্তা-সহ ১০ দফা দাবিতে ১৪ দিন ধরে অনশন চলছে। অনশন মঞ্চে ইতিমধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন একাধিক চিকিৎসক। শুক্রবার সন্ধ্যায় আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসক দেবাশিস হালদার জানান, তাঁরা চাইছেন আগামী সোমবারের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীকে সব কটি দাবি মানার জন্য আলোচনায় বসতে হবে। অন্যথায় সরকারি-বেসরকারি স্বাস্থ্যক্ষেত্রে সর্বিকভাবে ধর্মঘট ডাকা হবে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে কুণাল ঘোষ আর্জি জানিয়েছেন, জুনিয়র ডাক্তাররা অনশন তুলে নিন। তিনি লিখেছেন, ‘এখন অনশনের কোনও যুক্তিসঙ্গত কারণ নেই। শরীরে চাপ নেবেন না। প্রকৃত শুভানুধ্যায়ীদের পরামর্শ মানুন। শকুনের রাজনীতির প্ররোচনায় আবেগকে বিভ্রান্ত হতে দেবেন না।’ কুণালের দাবি, আন্দোলনকারীরা বাম ও অতি বাম মানসিকতা থেকেই এই ধর্মঘটের কথা বলছেন।
তৃণমূল নেতার মতে, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ধর্মঘট আসলে জনবিরোধী ভাবনা। সংবিধান অনুযায়ী চিকিৎসা পাওয়া মানুষের মৌলিক অধিকার বলেও উল্লেখ করেছেন কুণাল। চিকিৎসকদের উদ্দেশে তিনি বলছেন, ‘আন্দোলনকে জনগণের শত্রুর পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার আগে বারবার ভাবুন।’
প্রাক্তন বাম সরকারকে নিশানা করে কুণাল ঘোষ লিখেছেন, “এই সরকার জ্যোতি বসুর সরকারের মতো ডাক্তারদের আন্দোলন পুলিশ দিয়ে পিটিয়ে তোলেনি। বরং মুখ্যমন্ত্রী আপনাদের মঞ্চে গিয়েছেন, বাড়িতে ডেকেছেন, বারবার বৈঠক হয়েছে, কাজ চলছে, সিবিআই-সুপ্রিম কোর্ট দেখছে। আপনারা থ্রেট কালচারের অংশ হয়ে উঠে কাজ বন্ধের হুমকি দিয়ে রাজনীতি করবেন না।”