Kunal Ghosh: ‘নিয়ে চলেছে মলাটের শেষপ্রান্তের ক্লাইম্যাক্সের দিকে…’, ১০ বছরের আগের সেই রাত নিয়ে লিখলেন কুণাল ঘোষ
Kunal Ghosh: আদালতে সেই মামলায় কুণাল দোষী সাব্যস্ত হলেও মানসিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে তাঁকে কোনও শাস্তি দেওয়া হয়নি। কুণাল ঘোষ আজও মনে রেখেছেন, কীভাবে রায়দানের সময় বিচারক তাঁকে বেঁচে থাকার ও কাজের অনুপ্রেরণা দিয়েছিলেন।
কলকাতা: বর্তমানে শাসক দলের পক্ষে প্রায় প্রতিদিন মুখ খোলেন তিনি। খাতায়-কলমে মুখপাত্র না হলেও, প্রতিটি ঘটনা বা ইস্যুতে ঘাসফুলের প্রতিক্রিয়া কুণালের মুখে শুনতেই অভ্যস্ত সংবাদমাধ্যম। প্রায় নিয়মিত সাংবাদিকদের বসিয়ে প্রতিক্রিয়া দেন তিনি নানা ইস্যুতে। কুণালের ‘ফিরে আসা’ নিয়ে আলোচনা ও সমালোচনা দুটোই হয়। তবে ১০ বছর কেটে গেলেও কুণালের জেল-জীবন এখনও রাজ্যবাসীর স্মৃতিতে উজ্জ্বল। ঘুরে-ফিরে আসে তাঁর আত্মহত্যা বা প্রিজন ভ্যান থেকে তাঁর বলা বক্তব্যের কথা আজও ঘুরেফিরে আসে আলোচনায়। এবার সেই স্মৃতিচারণ করলেন কুণাল ঘোষ নিজেই।
সারদা মামলায় কুণালকে গ্রেফতার করেছিল বিধাননগর পুলিশ। ২০১৪ সালে জেলেই ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। পরে সেই আত্মহত্যার চেষ্টা নিয়ে মামলাও হয় আদালতে। জীবনের সেই অধ্যায়ের কথা ১০ বছর পর সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখলেন কুণাল ঘোষ।
২০১৪ সালের ১৩ নভেম্বর প্রেসিডেন্সি জেলের সেলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন কুণাল। তিনি লিখেছেন, ‘গভীর রাতে জেল অফিসার অসীম আচার্যের বেনজির পদক্ষেপে প্রাণ বেঁচেছিল বলে পরে শুনেছিলাম।’ জেল থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এসএসকেএমে, পরে জেলে ফেরানোর পর সিসিটিভি-র নজরদারিতে রাখা হয় তাঁকে। তারপর আত্মহত্যার চেষ্টার নতুন মামলা হয়।
আদালতে সেই মামলায় কুণাল দোষী সাব্যস্ত হলেও মানসিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে তাঁকে কোনও শাস্তি দেওয়া হয়নি। কুণাল ঘোষ আজও মনে রেখেছেন, কীভাবে রায়দানের সময় বিচারক তাঁকে বেঁচে থাকার ও কাজের অনুপ্রেরণা দিয়েছিলেন।
এই সব অধ্যায়ের অভিজ্ঞতা তাঁকে সমৃদ্ধ করেছে বলে দাবি করেছেন কুণাল ঘোষ। তিনি লিখেছেন, ওই রাত এবং ওই জীবন, আমার মনে আছে, মনে থাকবে। সব শেষে তিনি লিখেছেন, ‘জীবনের পাতায় পাতায় কত কথিত, অকথিত মণিমুক্তো, যা ক্রমশ নিয়ে চলেছে মলাটের শেষপ্রান্তের ক্লাইম্যাক্সের দিকে।’