AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

SA ও PS কারা? কুন্তলের ডায়েরিতে লেখা এই নামগুলো ঘুম উড়িয়েছে ED-র

ED সূত্রে খবর, কুন্তল ঘোষের কালো ডায়েরিতে দুটি সংক্ষিপ্ত নাম মিলেছে।

SA ও PS কারা? কুন্তলের ডায়েরিতে লেখা এই নামগুলো ঘুম উড়িয়েছে ED-র
কুন্তল ঘোষের কালো ডায়েরিতে উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর নাম।
| Edited By: | Updated on: Jan 23, 2023 | 1:28 PM
Share

কলকাতা: তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষের ‘কালো ডায়েরি’র রহস্য ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে। সূত্রের খবর, সংকেত নয়, সংক্ষেপে অনেক ব্যক্তির নাম উল্লেখ রয়েছে ওই ডায়েরিতে। যাঁদের সঙ্গে তাঁর টাকার লেনদেন হয়েছে। ইতিমধ্যে দুজনের সংক্ষিপ্ত নামও মিলেছে। ED সূত্রে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। ED সূত্রে খবর, কুন্তল ঘোষের কালো ডায়েরিতে দুটি সংক্ষিপ্ত নাম মিলেছে। সংক্ষিপ্ত আকারে লেখা সেই নাম দুটি কেবল দুটি অক্ষরে লেখা রয়েছে- SA এবং PS। এঁদের সঙ্গে কুন্তলের বড় টাকার লেনদেন হয়েছে বলে ডায়েরিতে উল্লিখিত। যদিও SA এবং PS-এর পরিচয় এখনও স্পষ্ট নয়। এঁরা কারা, সেটাই জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা। এগুলি নামের আদ্যক্ষর নাকি আদৌ আসল নাম কিনা, তাও জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা। ইতিমধ্যে কুন্তলের মুখে তাপস মণ্ডল, গোপাল দলপতির নাম উঠে এসেছিল। এবার আর কার-কার নাম বেরোয়, সেটাই দেখার!

প্রসঙ্গত, কুন্তল ঘোষের চিনার পার্কের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়েই একটি রহস্যজনক কালো ডায়েরি গোয়েন্দাদের হাতে এসে পৌঁছয়। সেটিতে টাকার হিসেব লেখা রয়েছে বলে আগেই জানিয়েছিলেন গোয়েন্দারা। TV9 বাংলার মুখোমুখি হয়ে তাপস মণ্ডলও দাবি করেছিলেন, ১৯ কোটি টাকা একদিনে নেননি কুন্তল। ২০১৬ থেকে ২০২১ পর্যন্ত পাঁচ বছর ধরে টাকা নেওয়া হয়েছে। কুন্তল কার থেকে কত টাকা নিয়েছেন তার হিসেব ওই কালো ডায়েরিতে লেখা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্তত ২৫-৩০ জন চাকরির জন্য কুন্তলকে টাকা দিয়েছিলেন। কুন্তল অনেককে বিকাশ ভবনে ইন্টারভিউয়ের ব্যবস্থা করিয়ে দিয়েছিলেন বলেও দাবি করেছেন তাপস। শুধু তাই নয়, চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে কুন্তলের যোগাযোগ বা টাকা পাইয়ে দেওয়ার বিষয়ে এই গোপাল দলপতি মাধ্যম হিসেবে কাজ করতেন বলে জানিয়েছেন তাপস।

যদিও ইডি-র জেরায় কোথায় কত টাকা দেওয়া হয়েছিল তাও ইতিমধ্যে জানিয়েছেন কুন্তল। তারপর গত শনিবারই কুন্তল ঘোষকে গ্রেফতার করার পর হেফাজতে নেওয়ার জন্য যে রিমান্ড কপি ইডির তরফে আদালতে জমা দেওয়া হয়েছিল, সেখানেই কুন্তল কোন খাতে কোথা থেকে কত টাকা নিয়েছিলেন তাঁর বিশদ বর্ণনা রয়েছে বলে খবর। টেট থেকে শুরু করে নবম-দশম, দ্বাদশ-একাদশ, গ্রুপ সি, গ্রুপ-ডি নিয়োগ সহ একাধিক ক্ষেত্রে চাকরি দেওয়ার নামে কুন্তল টাকা নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এবার তাঁর কালো ডায়েরি থেকে আর কী কী রহস্য উন্মোচিত হয়, আর কার কার নাম প্রকাশ্যে আসে, এবার সেটাই দেখার।