Leptospirosis: লেপ্টোস্পাইরোসিসের এত বড় মাপের আউটব্রেক আগে দেখেনি রাজ্য, উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতরও
Leptospirosis: স্বাস্থ্য আধিকারিকরাই বলছেন, লেপ্টোস্পাইরোসিসের এত বড় মাপের আউটব্রেক আগে দেখেনি রাজ্য। স্বাস্থ্য দফতরের বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ইঁদুর এই রোগের জীবাণুর প্রাকৃতিক আধার। বর্ষার সময় মাঠেঘাটে জমা জল রয়ে থাকা স্বাভাবিক।

কলকাতা: জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জে এখন লেপ্টোস্পাইরোসিস থাবা! ইতিমধ্যেই আক্রান্ত ৭৬ জন। লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, স্থানীয় একটি হ্যাচারি থেকেই সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। সাধারণত, জলবাহিত একটি ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ থেকেই এই রোগ ছড়ায়। কুকুর, বিড়াল, ইঁদুর জাতীয় প্রাণীর মল-মূত্র থেকে সংক্রমণ ঘটে। ইতিমধ্যেই ওই হ্যাচারি থেকে নমুনা সংগ্রহ করে বেলেঘাটার ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। তবে স্বাস্থ্যভবনের তরফে জানানো হয়েছে, লেপ্টোস্পাইরোসিস নতুন নয়। তবে একটি ব্লকে এত সংখ্যক রোগীর আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা এই প্রথম।
স্বাস্থ্য আধিকারিকরাই বলছেন, লেপ্টোস্পাইরোসিসের এত বড় মাপের আউটব্রেক আগে দেখেনি রাজ্য। স্বাস্থ্য দফতরের বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ইঁদুর এই রোগের জীবাণুর প্রাকৃতিক আধার। বর্ষার সময় মাঠেঘাটে জমা জল রয়ে থাকা স্বাভাবিক। সেখানে ইঁদুরের মূত্র মিশে সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। ইঁদুরের মূত্র থেকে গৃহপালিত পশুও আক্রান্ত হতে পারে। তবে এ বছর একটি ব্লকে সংক্রমণ কেন এই আকার নিল তা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ইতিমধ্যেই প্রাণীসম্পদ দফতর, PHE’কে সঙ্গে নিয়ে যৌথ ভাবে কাজ করছে স্বাস্থ্য ভবন। আক্রান্তের নিরিখে হটস্পট জোনে লেপ্টোস্পাইরা রোধে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ানোর কাজ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি, মাটির মধ্যে সংক্রমণবাহী জল চুঁইয়ে কোনও ভাবে নলকূপ-সহ পানীয় জলের আধারে প্রবেশ করেছে কি না, তা দেখছে জনস্বাস্থ্য কারিগরী দফতর।

