Liquor Sale in Durga Puja: পুজোর পাঁচদিন ‘জল পুলিশের’ আন্ডারে সুরাপ্রেমীরা, তাতেই ৬০০ কোটির ‘লক্ষ্মীলাভ’ সরকারের

Durga Puja: আগে পুজোয় 'ড্রাই ডে'র চল ছিল। একদিন পুরোপুরি মদের দোকান বন্ধ থাকত। আরেকদিন অর্ধেক বেলা। তবে সেসব নিয়ম ঘুচেছে বহুদিন হল। এখন আর পুজোর সময় মদের দোকান বন্ধের কোনও বালাই নেই। রোজ দু'বেলা, রাতভর চাইলেই তৈরি মদের জোগান। সুরাপায়ীরাও পুজোর ছুটিতে ডুব দেন সুরা-সাগরে।

Liquor Sale in Durga Puja: পুজোর পাঁচদিন ‘জল পুলিশের’ আন্ডারে সুরাপ্রেমীরা, তাতেই ৬০০ কোটির 'লক্ষ্মীলাভ' সরকারের
ফাইল চিত্রImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 30, 2023 | 4:44 PM

কলকাতা: ফি বছরই উৎসবের মরসুমে মদ বিক্রি করে দেদার লাভ হয় রাজ্যের কোষাগারে। এবারও তার ব্যতীক্রম হয়নি বলেই আবগারি দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে। দফতরের হিসাব বলছে, এবার পুজোর পাঁচদিনে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা আয় হয়েছে মদ বিক্রি করে। বিকেল থেকে হেমন্তের শিরশিরে হাওয়া, রাত বাড়লে আরও মনোরম আবহাওয়া। পুজোর পাঁচদিন তাই মন খুলে গলায় সুরা ঢেলেছেন সুরাপ্রেমীরা।

প্রতি বছরই এই সময় মদ বিক্রি করে প্রচুর লাভ করে আবগারি দফতর। দেশি-বিদেশি, সমানতালে বিক্রি হয়। এবার পুজোর পাঁচদিন মদ বিক্রি করে একাই ৩০ কোটির ‘লক্ষ্মী’ এনেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা। সেখানে আবার দেশি মদেই ভরেছে লক্ষ্মীর ভাঁড়ার। সাধারণত, উৎসবের দিনগুলিতে বিয়ারের চাহিদা তুঙ্গে থাকে। তবে উপকূলের জেলায় দেখা গিয়েছে অন্য ছবি। সেখানে দেশি সুরাতেই খোঁজ মিলেছে সুখের চাবিকাঠির। আবগারি দফতর সূত্রে খবর, শুধু ষষ্ঠীতেই নাকি ৫ কোটি ১১ লক্ষ ৫ হাজার ২৫৭ টাকার মদ বিক্রি হয়েছে।

এবার পুজোয় মদ বিক্রি করে যে লাভ হয়েছে, তা গতবারের তুলনায় প্রায় ১৫ শতাংশ বেশি। সূত্রের খবর, এত রেকর্ড সংখ্যক বিক্রির পিছনে কারণ, এ বার পুজোর মধ্যে কোনও ‘ড্রাই ডে’ ছিল না। আবগারি দফতর সূত্রের খবর, সপ্তমী ও নবমীতে মানুষ সবথেকে বেশি মদ কিনেছেন। সপ্তমীতে এবার প্রায় ১৫০ কোটি টাকার মতো মদ বিক্রি হয়েছে। তবে সপ্তমীকে পিছনে ফেলে দিয়েছে নবমী। নবমীতে আবগারি দফতর মদ বিক্রি করে আয় করেছে ২০০ কোটির মতো। আর পাঁচ দিনের মোট আয় ৬০০ কোটির মতো। তবে পুরো অক্টোবর মাস হিসাব ধরলে আবগারি দফতরের আয় হয়েছে প্রায় হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি।

আগে পুজোয় ‘ড্রাই ডে’র চল ছিল। একদিন পুরোপুরি মদের দোকান বন্ধ থাকত। আরেকদিন অর্ধেক বেলা। তবে সেসব নিয়ম ঘুচেছে বহুদিন হল। এখন আর পুজোর সময় মদের দোকান বন্ধের কোনও বালাই নেই। রোজ দু’বেলা, রাতভর চাইলেই তৈরি মদের জোগান। সুরাপায়ীরাও পুজোর ছুটিতে ডুব দেন সুরা-সাগরে। আবগারি দফতরের হিসাব অন্তত সেদিকেই ইঙ্গিত করছে। গত কয়েক বছরে দেখা গিয়েছে পুজোর সময় আবগারি দফতর প্রচুর টাকা লাভ করে এই সময়টা। অন্যান্য বছর দশমীর দিন সবথেকে বেশি মদ বিক্রিতে লাভ করেছেন ব্যবসায়ীরা। তবে এবার নবমীতেই উল্লাস। ফলে ‘মাল’ বিক্রি করে আবগারি দফতরও এবার পুজোয় মালামাল।