কলকাতা: লোকসভা ভোটে ফের একবার শ্রীরামপুর থেকে জয়ী হয়েছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নিয়ে টানা চার বার শ্রীরামপুরের মাটিতে সবুজ আবির ওড়ালেন কল্যাণ। ৬ লাখ ৭৩ হাজারেরও বেশি ভোট পেয়েছেন। জয়ের ব্যবধান ১ লাখ ৭৪ হাজার ৮৩০। ভোটের রেজাল্টের পর টিভি নাইন বাংলাকে কল্যাণ জানালেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর মানুষ যে বিশ্বাস রেখেছে, তারই প্রতিফলন এই রেজাল্ট। বাংলায় দলের সামগ্রিক ফলাফল প্রসঙ্গে কল্যাণের বক্তব্য, ‘হয়ত কিছু কিছু কাজ মানুষের এখনও পর্যন্ত পছন্দ নাও থাকতে পারে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের উপর বিশ্বাস রেখেছে মানুষ।’
শ্রীরামপুর থেকে পর পর চার বার ভোটে জেতা কল্যাণ বলেন, “মানুষের বিশ্বাস, ভালবাসার জায়গা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিদিকে মানুষ অসম্ভব ভালবাসে ও বিশ্বাস করে। মানুষ বিশ্বাস করে, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের হাত ধরেই পশ্চিমবঙ্গ ঠিক থাকবে। বিশেষ করে গরিব, প্রান্তিক মানুষ ভাল থাকবেন।” লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো প্রকল্পের থেকে যে রাজ্যের মহিলারা ভীষণভাবে আর্থিক সুবিধা পাচ্ছেন, সে কথাও তুলে ধরেন তিনি।
এবারের ভোটে তৃণমূল শিবির থেকে প্রচুর মহিলা প্রার্থী জিতে লোকসভায় যাচ্ছেন। তবে শুধু লোকসভাতেই নয়, গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরেও তৃণমূলের মহিলা জনপ্রতিনিধিদের গুরুত্ব বোঝালেন কল্যাণ। তাঁর কথায়, ‘পঞ্চায়েতে মহিলা প্রধানদের গ্রহণযোগ্যতা মানুষের কাছে বেড়েছে। মহিলারা তাঁদের কাছে গিয়ে খোলাখুলি কথা বলছেন। এটা আমার ভাল লেগেছে।’
পাশাপাশি বিরোধীরা যে লাগাতার দুর্নীতির অভিযোগ তুলে গিয়েছে, সেটাও যে কোনও ফ্যাক্টর হয়নি, সে কথাও বুঝিয়ে দেন শ্রীরামপুরের সদ্য নির্বাচিত সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর যুক্তি, “দুর্নীতির কথা যে বলা হচ্ছে, সেটা তো এখনও প্রমাণিত নয়। দুই তিন বছর ধরে বলা হচ্ছে দুর্নীতি দুর্নীতি। কয়েকজন জেলে আছেন, কিন্তু এটা তো প্রমাণ দিতে হবে। শুধু দুর্নীতির আওয়াজ তুলে তো হবে না। প্রমাণ কোথায় হল? সিবিআই তো কোনওকিছু প্রমাণই করতে পারছে না।”