Loksabha Election: লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি শুরু, ১২ ঘণ্টার বৈঠকে কী কী নির্দেশ দিল কমিশন?

Pradipto Kanti Ghosh | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Sep 12, 2023 | 8:05 PM

Loksabha Election: জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কোনও সংঘর্ষের ঘটনায় শুধুমাত্র এফআইআর করে ফেলে রাখলেই চলবে না, সেই মামলায় অগ্রগতি কতটা হয়েছে, কাউকে গ্রেফতার করা হয়েছিল কি না, তা জানতে চাওয়া হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Loksabha Election: লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি শুরু, ১২ ঘণ্টার বৈঠকে কী কী নির্দেশ দিল কমিশন?
জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোট শেষ হয়েছে, মিটেছে উপ নির্বাচনের পর্বও। এবার লোকসভা নির্বাচনের জন্য শুরু হয়েছে জোর প্রস্তুতি। নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে জেলাশাসকদের বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হল সোমবারের বৈঠকে। মূলত রাজনৈতিক সংঘর্ষের বিষয়েই নজর দিতে চাইছে কমিশন। ভোটের সময় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে, তার জন্য সবরকম হিসেব কষে দেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে। উপ নির্বাচন কমিশনার ধর্মেন্দ্র শর্মা, নীতেশ ব্যাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন সোমবারের বৈঠকে। সকাল ৯ টা থেকে প্রায় ১২ ঘণ্টার বৈঠক হয়।

সূত্রের খবর, জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কোনও সংঘর্ষের ঘটনায় শুধুমাত্র এফআইআর করে ফেলে রাখলেই চলবে না, সেই মামলায় অগ্রগতি কতটা হয়েছে, চার্জশিট তৈরি হয়েছে কি না, কাউকে গ্রেফতার করা হয়েছিল কি না, তা জানতে চাওয়া হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে এ ব্যাপারে পুলিশের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শও দিয়েছে কমিশন।

২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রেক্ষিতে কিছু তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে, যা থেকে লোকসভা নির্বাচনের কৌশল তৈরি করা যায়। যে দিন থেকে বিধানসভা নির্বাচন ঘোষণা করা হয়েছিল আর যতদিন পর্যন্ত কমিশনের অধীনে ছিল রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, ততদিন পর্যন্ত হওয়া সব রাজনৈতিক সংঘর্ষের বিস্তারিত তথ্য জোগাড় করার কথা বলা হয়েছে। বুথের বাইরের হোক বা ভিতরের, সব ঘটনার বর্তমান স্টেটাস কী, তা জানতে চেয়েছে কমিশন।

পরবর্তীতে পঞ্চায়েত ভোটের সময়তার অশান্তির তথ্যও সংগ্রহ করবে নির্বাচন কমিশন। আর তা দিয়েই তৈরি হবে, ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আইন শৃঙ্খলার মানচিত্র। কমিশনের আধিকারিকরা বলছেন, রাজ্যের সব রাজনৈতিক সংঘর্ষের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। ভোটের দিন যত এগোবে, ততই তথ্য় সংগ্রহের পরিমাণ বাড়ানো হবে।

এছাড়াও কমিশনের উচ্চ পদস্থ কর্তাদের নির্দেশ, জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার ক্ষেত্রে যে কোনও গাফিলতি না থাকে। যাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে, তাঁদের ওপর এখন থেকেই নজরে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার কথাও বলা হয়েছে।

Next Article