Jangipur: শুভেন্দুর হাত ধরে আসা তৃণমূল প্রার্থী হারালেন শুভেন্দুরই বিজেপিকে, জানেন খলিলুরের পরিচয়
Jangipur: বাম-কংগ্রেস এ জেলার তিন আসনেই হাতে হাত রেখে ভোটে লড়েছে। বিজেপিও দীর্ঘদিনের আরএসএসের সংগঠক ধনঞ্জয় ঘোষকে ময়দানে নামায়। উত্তর মুর্শিদাবাদ জেলা কমিটির সভাপতিও তিনি। ফলে জেলাটা তাঁর কাছে হাতের তালুর মতো চেনা। তবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর মতো সরকারি আর্থিক অনুদান বা সহযোগিতাকে জনসমক্ষে তুলে ধরেই এবারও খলিলুরই জঙ্গিপুর থেকে সংসদে।
কলকাতা: ২০১৯ সালেও জঙ্গিপুর লোকসভায় তৃণমূলের মুখ ছিলেন খলিলুর রহমান। এবারও তিনিই জয়ী। ৫ লাখের বেশি ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন তিনি। ধূলিয়ানের বিড়ি ব্যবসায়ী খলিলুর ২০১৮ সালে তৃণমূলে যোগ দেন। সে সময় মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের পর্যবেক্ষক ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুই খলিলুর রহমানের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন। সেই থেকে ঘাসফুলেই ‘অজাতশত্রু’ খলিলুর। এবার কংগ্রেসের মুর্তজা হোসেন বকুল, বিজেপির ধনঞ্জয় ঘোষকে হারিয়ে ১ লাখের বেশি ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন যিনি।
কত ভোট পেলেন খলিলুর রহমান?
তৃণমূল প্রার্থী খলিলুর রহমানের প্রাপ্ত ভোট ৫৪৪৪২৭। ১১৬৬৩৭ ভোটে জয়ী হন তিনি। এই কেন্দ্রে দ্বিতীয় হন কংগ্রেস প্রার্থী মুর্তজা হোসেন বকুলের প্রাপ্ত ভোট ৪২৭৭৯০। এবার লড়াই বেশ হাড্ডাহাড্ডিই ছিল। কারণ, এই কেন্দ্র জিততে কংগ্রেস কম কসরত করেনি। অধীর চৌধুরী নিজে প্রচার করেন বকুলের হয়ে। খড়গ্রামের সভার জনসমাগম আশ্বস্ত করেছিল প্রদেশ-নেতাকে।
রাজনীতিতে কীভাবে উত্থান?
মুর্শিদাবাদ জেলায় বিড়ি শিল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভোটের বাক্সেও তার প্রভাব দেখা যায়। খলিলুর রহমানের মতো স্বচ্ছ ভাবমূর্তির ব্যবসায়ীকে ২০১৬ সালেই দলে চেয়েছিল তৃণমূল। বিধানসভা ভোটে তাঁকে প্রার্থী করতে চায় শাসকদল। তবে তিনি রাজি হননি। পরে ২০১৮ সালে তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেন। সেই থেকেই তৃণমূলে তাঁর রাজনীতির সফর শুরু। ২০১৯ সালে খলিলুরকে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী করে জঙ্গিপুর লোকসভা থেকে। এই কেন্দ্রের ভোটঅঙ্কে বিড়ি শ্রমিকদের প্রভাব বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। সেবার ভোটে জিতেও যান তিনি। এবারও সেই খলিলুরে ভরসা রাখে দল।
মমতার প্রকল্প-ভাণ্ডারেই কেল্লাফতে?
এবার এই আসনে লড়াই মোটেই অতটা সহজ ছিল না। বাম-কংগ্রেস এ জেলার তিন আসনেই হাতে হাত রেখে ভোটে লড়েছে। বিজেপিও দীর্ঘদিনের আরএসএসের সংগঠক ধনঞ্জয় ঘোষকে ময়দানে নামায়। উত্তর মুর্শিদাবাদ জেলা কমিটির সভাপতিও তিনি। ফলে জেলাটা তাঁর কাছে হাতের তালুর মতো চেনা। তবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর মতো সরকারি আর্থিক অনুদান বা সহযোগিতাকে জনসমক্ষে তুলে ধরেই এবারও খলিলুরই জঙ্গিপুর থেকে সংসদে।