Exclusive Madan Mitra: ‘তৃণমূলে ষড়যন্ত্র চলছে, আমাদের মন্ত্রিসভা জানেই না’, বিস্ফোরক মদন মিত্র

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Nov 20, 2021 | 5:56 PM

Madan Mitra: লাগামহীন বাসের ভাড়া। প্রতিদিন গণ- পরিবহন নিয়ে সমস্যায় ভুগছেন রাজ্যবাসী। এরই মধ্যে দলের কারও উস্কানি আছে বলে মন্তব্য করলেন মদন মিত্র।

Follow Us

কলকাতা : ভাড়া বাড়ায়নি সরকার, অথচ বেশি ভাড়া দিতে প্রতিনিয়ত নাজেহাল হচ্ছে রাজ্যবাসী। বারবার সামনে আসছে নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ। রাস্তায় বাসও মিলছে না ঠিক মতো। এরই মধ্যে পরিবহনের (Transport) এই অনিয়ম নিয়ে বোমা ফাটালেন বিধায়ক তথা প্রাক্তন পরিবহন মন্ত্রী মদন মিত্র (Madan Mitra)। তাঁর দাবি, এই অনিয়মের পিছনে দলের কেউ বা কারা থাকলেও থাকতে পারে। ‘একটা বিরাট ষড়যন্ত্র চলছে’ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। TV9-বাংলার স্টুডিওতে এসে দলের বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন মদন মিত্র।

বাস বা মিনিবাসের যে বেপরোয়া চাল চলন, তা নিয়ে দলের একাংশের দিকে আঙুল তুলেছেন কামারহাটির বিধায়ক। শুধু তাই নয়, দলের শীর্ষ নেতৃত্ব তথা মন্ত্রীরা সব কিছু জানে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, লকডাউন কাটলেও রাস্তায় বাসের দেখা মেলে না সময় মতো। সরকারি বিজ্ঞপ্তি না থাকা সত্ত্বেও দিতে হচ্ছে অধিক ভাড়া। বাস, ট্যাক্সি সব ক্ষেত্রেই একই অবস্থা। রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহন মন্ত্রীকে সেই বিষয়েই প্রশ্ন করা হয়েছিল। আর তাতেই দলের অন্তর্ঘাতকেই দায়ি করেন তিনি।

উত্তরে মদন মিত্র বলেন, ‘যেটা এই মুহূর্তে আমাদের মন্ত্রিসভার কাছে অজানা, অথবা জানা হলেও তারা বিশ্বাস করছেন না, অথবা তাদেরকে বিশ্বাস করাতে পারছেন না। এই যে ভাড়া বাড়া না বাড়া, প্রাইভেট বাস নামা না নামা, এই সবকিছুর মধ্যেই একটা বিরাট ষড়যন্ত্র কাজ করছে, যেটার মধ্যে আমাদের দলের বেশ কিছু লোকের মদত থাকলেও থাকতে পারে।’

মুখ্যমন্ত্রী উদ্যোগের পরও বাস-মিনিবাসের যে বেপরোয়া চালচলন, তাতে দলের লোকের উস্কানি আছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। মদন মিত্র বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী, পরিবহন মন্ত্রী এত করে বলার পরও এই যে বাস- মিনি বাস এত ডাট নিয়ে চলছে, নিশ্চই কেউ বা কারা এর পিছনে উস্কাচ্ছে। বলছে, কোনও ব্যাপার না, আমরা বুঝে নেব।’ পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম অবশ্য এই ইস্যুতে তেমন বিচলিত হন। ভাড়া বেশি নেওয়া হচ্ছে শুনে অবাক তিনি। তিনি বলেন, ‘কোথায় ভাড়া বেড়েছে? ভাড়া তো বাড়েনি। সরকার তো এখনও ভাড়া বাড়ায়নি।‘ 

এর আগে মদন মিত্র পরিবহন দফতর সামলেছেন দীর্ঘ দিন। মনে করা হয়, রাজ্যের পরিবহন তাঁর কাছে হাতের তালুর মতো চেনা।  আর সেই মদন মিত্রের মন্তব্যেই প্রশ্ন উঠল, তবে কি মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাকে তোয়াক্কা না করেই কোনও নেতা এ সব কাজে মদত দিচ্ছেন?

এই প্রসঙ্গে সিটু নেতা অনাদি সাহু বলেন, ‘চক্রান্ত কে করছে বোঝা যাচ্ছে না, তবে জনগণকে বাড়তি টাকা দিতে হচ্ছে।’ পাশাপাশি বর্ধিত পেট্রোল- ডিজেলের দাম নিয়েও রাজ্য সরকারের দিকে আঙুল তুলেছেন তিনি। তিনি উল্লেখ করেন, ট্যাক্সি ভাড়া না বাড়ালেও অতিরিক্ত টাকা দিতে হচ্ছে জনগণকে, বাসেও একই অবস্থা। সিটু নেতার দাবি, ‘মুখ্যমন্ত্রী চাইলেই সমস্যার সমাধান করতে পারেন।’

বিজেপিও বাস ভাড়া ইস্যুতে তৃণমূলকেই কাঠগড়ায় তুলেছে। বিজেপি নেতা সমীক ভট্টাচার্য বলেন, কেন্দ্র পেট্রোল- ডিজেলের দাম কমাল অথচ রাজ্য সরকার প্রাপ্য ট্যাক্স একটুও কমাল না। তাই এবার ভাড়া বাড়ছে। মদন মিত্রের মন্তব্য নিয়ে বিজেপি নেতা বলেন, ‘অন্তর্দ্বন্দ্ব না অন্য কোনও কারণ, তা আমরা জানি না। আমরা শুধু এটাই দেখছি যে সরকারের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই।’

বাস মালিকরা আশাবাদী সরকার ভাড়া বাড়াবেই। তাঁদের দাবি, আলোচনা যখন চলছে, তখন এই ভাড়া নিশ্চয় বাড়বে। অন্যদিকে, জনগণ, যাঁরা প্রতিনিয়ত সমস্য়ার মুখোমুখি হচ্ছেন, তাঁরা মনে করছেন মদন মিত্র একেবারে হক কথা বলছেন। যাত্রীরা বলছেন, মদন এক সময় পরিবহন মন্ত্রী ছিলেন, তাই তিনি যখন বলছেন, তখন অবশ্যই কোনও একটা ব্যাপার আছে।

আরও পড়ুন : Sukanta Majumder On Tathagata Roy: ‘ওঁ দলের সাধারণ সদস্য’, তথাগতর ‘আপাতত বিদায়’ মন্তব্যের পাল্টা সুকান্ত

কলকাতা : ভাড়া বাড়ায়নি সরকার, অথচ বেশি ভাড়া দিতে প্রতিনিয়ত নাজেহাল হচ্ছে রাজ্যবাসী। বারবার সামনে আসছে নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ। রাস্তায় বাসও মিলছে না ঠিক মতো। এরই মধ্যে পরিবহনের (Transport) এই অনিয়ম নিয়ে বোমা ফাটালেন বিধায়ক তথা প্রাক্তন পরিবহন মন্ত্রী মদন মিত্র (Madan Mitra)। তাঁর দাবি, এই অনিয়মের পিছনে দলের কেউ বা কারা থাকলেও থাকতে পারে। ‘একটা বিরাট ষড়যন্ত্র চলছে’ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। TV9-বাংলার স্টুডিওতে এসে দলের বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন মদন মিত্র।

বাস বা মিনিবাসের যে বেপরোয়া চাল চলন, তা নিয়ে দলের একাংশের দিকে আঙুল তুলেছেন কামারহাটির বিধায়ক। শুধু তাই নয়, দলের শীর্ষ নেতৃত্ব তথা মন্ত্রীরা সব কিছু জানে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, লকডাউন কাটলেও রাস্তায় বাসের দেখা মেলে না সময় মতো। সরকারি বিজ্ঞপ্তি না থাকা সত্ত্বেও দিতে হচ্ছে অধিক ভাড়া। বাস, ট্যাক্সি সব ক্ষেত্রেই একই অবস্থা। রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহন মন্ত্রীকে সেই বিষয়েই প্রশ্ন করা হয়েছিল। আর তাতেই দলের অন্তর্ঘাতকেই দায়ি করেন তিনি।

উত্তরে মদন মিত্র বলেন, ‘যেটা এই মুহূর্তে আমাদের মন্ত্রিসভার কাছে অজানা, অথবা জানা হলেও তারা বিশ্বাস করছেন না, অথবা তাদেরকে বিশ্বাস করাতে পারছেন না। এই যে ভাড়া বাড়া না বাড়া, প্রাইভেট বাস নামা না নামা, এই সবকিছুর মধ্যেই একটা বিরাট ষড়যন্ত্র কাজ করছে, যেটার মধ্যে আমাদের দলের বেশ কিছু লোকের মদত থাকলেও থাকতে পারে।’

মুখ্যমন্ত্রী উদ্যোগের পরও বাস-মিনিবাসের যে বেপরোয়া চালচলন, তাতে দলের লোকের উস্কানি আছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। মদন মিত্র বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী, পরিবহন মন্ত্রী এত করে বলার পরও এই যে বাস- মিনি বাস এত ডাট নিয়ে চলছে, নিশ্চই কেউ বা কারা এর পিছনে উস্কাচ্ছে। বলছে, কোনও ব্যাপার না, আমরা বুঝে নেব।’ পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম অবশ্য এই ইস্যুতে তেমন বিচলিত হন। ভাড়া বেশি নেওয়া হচ্ছে শুনে অবাক তিনি। তিনি বলেন, ‘কোথায় ভাড়া বেড়েছে? ভাড়া তো বাড়েনি। সরকার তো এখনও ভাড়া বাড়ায়নি।‘ 

এর আগে মদন মিত্র পরিবহন দফতর সামলেছেন দীর্ঘ দিন। মনে করা হয়, রাজ্যের পরিবহন তাঁর কাছে হাতের তালুর মতো চেনা।  আর সেই মদন মিত্রের মন্তব্যেই প্রশ্ন উঠল, তবে কি মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাকে তোয়াক্কা না করেই কোনও নেতা এ সব কাজে মদত দিচ্ছেন?

এই প্রসঙ্গে সিটু নেতা অনাদি সাহু বলেন, ‘চক্রান্ত কে করছে বোঝা যাচ্ছে না, তবে জনগণকে বাড়তি টাকা দিতে হচ্ছে।’ পাশাপাশি বর্ধিত পেট্রোল- ডিজেলের দাম নিয়েও রাজ্য সরকারের দিকে আঙুল তুলেছেন তিনি। তিনি উল্লেখ করেন, ট্যাক্সি ভাড়া না বাড়ালেও অতিরিক্ত টাকা দিতে হচ্ছে জনগণকে, বাসেও একই অবস্থা। সিটু নেতার দাবি, ‘মুখ্যমন্ত্রী চাইলেই সমস্যার সমাধান করতে পারেন।’

বিজেপিও বাস ভাড়া ইস্যুতে তৃণমূলকেই কাঠগড়ায় তুলেছে। বিজেপি নেতা সমীক ভট্টাচার্য বলেন, কেন্দ্র পেট্রোল- ডিজেলের দাম কমাল অথচ রাজ্য সরকার প্রাপ্য ট্যাক্স একটুও কমাল না। তাই এবার ভাড়া বাড়ছে। মদন মিত্রের মন্তব্য নিয়ে বিজেপি নেতা বলেন, ‘অন্তর্দ্বন্দ্ব না অন্য কোনও কারণ, তা আমরা জানি না। আমরা শুধু এটাই দেখছি যে সরকারের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই।’

বাস মালিকরা আশাবাদী সরকার ভাড়া বাড়াবেই। তাঁদের দাবি, আলোচনা যখন চলছে, তখন এই ভাড়া নিশ্চয় বাড়বে। অন্যদিকে, জনগণ, যাঁরা প্রতিনিয়ত সমস্য়ার মুখোমুখি হচ্ছেন, তাঁরা মনে করছেন মদন মিত্র একেবারে হক কথা বলছেন। যাত্রীরা বলছেন, মদন এক সময় পরিবহন মন্ত্রী ছিলেন, তাই তিনি যখন বলছেন, তখন অবশ্যই কোনও একটা ব্যাপার আছে।

আরও পড়ুন : Sukanta Majumder On Tathagata Roy: ‘ওঁ দলের সাধারণ সদস্য’, তথাগতর ‘আপাতত বিদায়’ মন্তব্যের পাল্টা সুকান্ত

Next Article