কলকাতা: নকল রুখতে যাওয়ায় মালদহের বৈষ্ণবনগরে পরীক্ষার্থীদের হাতে আক্রান্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা। পরীক্ষার্থী ও বহিরাগতদের মারে হাত ভাঙল বিশেষ ভাবে সক্ষম এক শিক্ষিকার। এই ঘটনায় ৯ পড়ুয়াকে শনাক্ত করল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। জেলাশাসকের তত্ত্বাবধানে তদন্ত করছে সংসদ। ৯ জনের তথ্য যাচাই করে হেয়ারিং করবে সংসদ। তার ভিত্তিতেই কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রয়োজনে বাতিল হতে পারে তাদের পরীক্ষাও।
সংসদ সূত্রে জানা যাচ্ছে, পুরো ঘটনায় ১১-১২ জন যুক্ত রয়েছে। ইতিমধ্যেই ওই পরীক্ষাকেন্দ্রের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে সংসদ। সেখান থেকে সাত জনের রোল নম্বর আইডেন্টিফাই করা হয়েছে। বাকি ২ জনকে শনাক্ত করা গিয়েছে, তাদের রোল নম্বর ও বাকি তথ্য সংগ্রহ করছে। উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য নিজেই এই স্কুলটা পরিদর্শন করেছিলেন। অভিযুক্ত ছাত্রদের স্কুলের প্রধান শিক্ষককে ওয়ার্নিং দেওয়া হয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হলে হেয়ারিং হবে। সেখানে প্রধান শিক্ষক ও ওই পড়ুয়াদের উপস্থিত থাকতে হবে। সেখানে অভিযুক্ত ছাত্রদের প্রমাণ করতে হবে, কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না? হেয়ারিংয়ের ওপরেই সিদ্ধান্ত হবে, তাদের পরীক্ষা বাতিল হবে কিনা!
তবে চামাগ্রাম হাইস্কুলের এই ঘটনায় বিস্ফোরক মালদা জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ ফজলুল হক। তাঁর বক্তব্য, যারা হামলা চালিয়েছে, তারা বেসরকারি স্কুলের ছাত্র। নির্দিষ্ট সরকারি স্কুলে নাম নথিভুক্ত করে পরীক্ষা দিতে যায়। বিভিন্ন বেসরকারি স্কুলগুলোর সঙ্গে স্থানীয় কিছু সরকারি স্কুলের গোপন যোগসাজশ আছে। বেসরকারি স্কুলে মোটা টাকা খরচ করে। ছাত্ররা মোবাইল নিয়ে যায় নিয়মিত। নকল করার দাবি নিয়েই যায় মোবাইল নিয়ে। আর তাতে বাধা দেওয়াতেই এই শিক্ষকদের ওপর হামলা।