কলকাতা: পেগাসাস বিতর্ক সামনে আসার পরই ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সাবধানী হয়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার প্রথম দৃষ্টান্ত দেখা গিয়েছিল একুশে জুলাইয়ের শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে। নিজের ফোনের পিছনের ক্যামেরা নিউকোপ্লাস্ট দিয়ে সিল করে দিয়েছিলেন মমতা। নবান্নে এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে বসেও একই ইস্যুতে তিনি সরব হন। তবে সূত্রের খবর, পেগাসাস কাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পরই বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে সকল মন্ত্রীদের ফোনে কথা বলার বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি।
লক্ষ্মীবারে মন্ত্রিসভার বৈঠক বসেছিল নবান্নে। সূত্রের খবর, সেই বৈঠক চলাকালীন মন্ত্রিসভার সদস্যদের তিনি ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাবধান থাকতে বলেন। মন্ত্রিসভার সামনে তিনি বলেন, “যত আধুনিক ফোন নেবেন, সুরক্ষা ততই কমে যাবে। তত কম নিরাপদ হবে সেই ফোনগুলো। ফেসটাইম নিরাপদ নয়।” এমনকী, নিজের আইফোনটি দেখিয়ে তিনি বলেন, “আমার ফোনও নিরাপদ নয়।” ফলে সব ধরনের গোপনীয় এবং প্রয়োজনীয় কথা ফোনে না বলাই সমীচীন বলে জানান মমতা। বরং গুরুত্বপূর্ণ কথা সামনা-সামনি বলার উপরই জোর দেন তিনি।
পেগাসাস কাণ্ডের পর মমতা যে মোবাইল ফোনের ব্যবহার এবং এর গোপনীয়তা নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগে রয়েছেন, তা সাংবাদিক বৈঠকেই কার্যত স্পষ্ট বুঝিয়ে দেন। তাঁকে বলতে শোনা যায়, “ফোনটা রেখে লাভ কী! এটা হয় ডিপফ্রিজে ঢুকিয়ে দেওয়া উচিত। বরফের মধ্যে ঠাণ্ডায় ঘুমিয়ে পড়বে। আর জাগবে না। আর নাহলে এটার শ্রাদ্ধ-শান্তি করে একেবারে বাদ দিয়ে দাও।” এইটুকু বলেই মমতার প্রশ্ন, “জগৎটা কি এভাবেই চলবে, নাকি চলতে পারে? মানুষের কণ্ঠই যদি বন্ধ হয়ে যায়, তবে তাঁরা বাঁচবে কী নিয়ে!” আরও পড়ুন: ‘ফোন রেখে কী লাভ! হয় ডিপফ্রিজে ঢুকিয়ে দাও, ঠাণ্ডায় ঘুমিয়ে যাবে, নয়তো শ্রাদ্ধ করে দাও’