‘ফোন রেখে কী লাভ! হয় ডিপফ্রিজে ঢুকিয়ে দাও, ঠাণ্ডায় ঘুমিয়ে যাবে, নয়তো শ্রাদ্ধ করে দাও’

Mamata Banerjee: ফোনে আড়ি পাতা কাণ্ডে কেন্দ্রীয় সরকারের উপর চাপ ক্রমশ বাড়াচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী।

'ফোন রেখে কী লাভ! হয় ডিপফ্রিজে ঢুকিয়ে দাও, ঠাণ্ডায় ঘুমিয়ে যাবে, নয়তো শ্রাদ্ধ করে দাও'
ছবি- ফেসবুক
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 22, 2021 | 6:00 PM

কলকাতা: একুশের মঞ্চে তুলোধোনার পর নবান্নে বসেও আক্রমণ মমতার। ফোনে আড়ি পাতা কাণ্ডে কেন্দ্রীয় সরকারের উপর চাপ ক্রমশ বাড়াচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী। পেগাসাস ইস্যুতে সংবাদ প্রকাশের পরই দেশের প্রথম সারির সংবাদপত্র ‘দৈনিক ভাস্করের’ দফতরে আয়করের হানা নিয়ে এ বার মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “সকাল থেকে যেভাবে সাংবাদিক ও সংবাদপত্রকে হেনস্থা করা হচ্ছে, আমি এটার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।”

বুধবার শহিদ দিবসের অনুষ্ঠানেই নতুন স্লোগানের সূচনা করেছিলেন মমতা। “পেগাসাস পেগাসাস, মোদীবাবুর নাভিঃশ্বাস”, আজও সেই স্লোগানের পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে তাঁকে বলতে শোনা যায়, “এটা সকলের কণ্ঠ বন্দি করার ফন্দি।” নিজের ক্যামেরা সিল করা ফোন তুলে ধরে তিনি বলেন, “ফোনটা রেখে লাভ কী! এটা হয় ডিপফ্রিজে ঢুকিয়ে দেওয়া উচিত। বরফের মধ্যে ঠাণ্ডায় ঘুমিয়ে পড়বে। আর জাগবে না। আর নাহলে এটার শ্রাদ্ধ-শান্তি করে একেবারে বাদ দিয়ে দাও।” এইটুকু বলেই মমতার প্রশ্ন, “জগৎটা কি এভাবেই চলবে, নাকি চলতে পারে? মানুষের কণ্ঠই যদি বন্ধ হয়ে যায়, তবে তাঁরা বাঁচবে কী নিয়ে!”

মমতা আরও বলেন, “আমি মনে করি পেগাসাস ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারির থেকেও বড় কেলেঙ্কারি। ইমার্জেন্সির থেকেও সুপার ইমার্জেন্সি। এসব হিটলারি কায়দা করে কতদিন মানুষকে ভয় দেখিয়ে রাখবে? মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, প্রত্যেকটা এজেন্সিকে পেগাসাসে পরিণত করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার নিজের মন্ত্রীদের, আধিকারিকদেরও বিশ্বাস করে না। আগে আমরা আমরা ভাবতাম হোয়াটসঅ্যাপটা সুরক্ষিত। কিন্তু পুরোটাই অসুরক্ষিত ওটার মধ্যে দিয়েই ঢোকাচ্ছে (হ্যাকিং সফটওয়ার)। সব তুলে দিচ্ছে। পেগাসাস সব খেয়ে নিয়েছে, হজম করে নিয়েছে।”

কী এই ‘ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারি’?

ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারি হল ১৯৭০-এর দশকের আমেরিকায় ঘটে যাওয়া অন্যতম একটি কেলেঙ্কারি। যে ঘটনার জেরে পরবর্তী সময়ে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রপতি রিচার্ড নিক্সন। ১৯৭২ সালে অভিযোগ ওঠে, তৎকালীন শাসকদল রিপাবলিকান বিরোধীদল ডেমোক্র্যাটদের দফতরে আড়িপাতার যন্ত্র বসিয়েছেন। নিক্সন প্রশাসন গোটা ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করলেও শেষরক্ষা হয়নি। এই ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হন নিক্সন প্রশাসনের ৪৩ আধিকারিক। তাঁদের জেল সাজা দেওয়া হয়। ১৯৭৪ সালে পদত্য়াগ করেন রিচার্ড নিক্সন। আরও পড়ুন: ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ ভরতে অগস্টে ফের দুয়ারে আসছে সরকার, বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর