বিধাননগর: সল্টলেক, রাজারহাট, গোপালপুর মূলত অফিস পাড়া। আর রাস্তার দু’পাশে ফুটপাত দখল করে গজিয়ে উঠেছে বিভিন্ন ধরনের খাবারের দোকান। বিশেষ করে সল্টলেক চত্বরে গেলে এই দৃশ্য কারও অজানা নয়। এবার এই নিয়েই ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠক থেকেই কার্যত বিধাননগর বিধানসভার বিধায়ক সুজিত বোসের দিকে তাকিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা গেল, “একটা করে ত্রিপল টাঙাচ্ছে আর বসে পড়ছে। কত টাকার বিনিময়ে, কারা নিয়েছে টাকা? কেন এখানকার কাউন্সিলররা কাজ করেন না?”
এ দিন বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,”সল্টলেক আমার বলতে লজ্জা লাগছে। রাজারহাটেও শুরু হয়েছে বেআইনি দখল। সল্টলেকেও ইচ্ছামতো সুজিত বসু লোক বসাচ্ছেন। কেন বাইরের লোক বসবে।” এরপরই একটি ছবি তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “ছবি দেখালে নিজেরাই লজ্জা পাবেন। এআরডি অফিসের সামনের রাস্তাও দখল হয়ে গিয়েছে। একটা করে ত্রিপল লাগাচ্ছেন বসে পড়ছেন। কেন? হোয়াই…হোয়াই…হোয়াই? কেন রাস্তা ঝাড় দেয় না। শুধু কি উপর দিকে তাকালে হবে? কলকাতা শহরের ভিডিয়ো করা ছিল কোন রাস্তা কতটা দখল রয়েছে। তা সত্ত্বেও একটা করে নতুন ওসি আসে। আর বসিয়ে দেয়। আমি বেরলেই দেখতে পাই। অথচ পুলিশের চোখে পড়ে না।”
মমতা জানান তিনি নিজে চোখে দেখে এসেছেন। বলেন, “ওয়েবল আমি নিজে চোখে দেখে এসেছি। কারোও কথা না শুনে। একটু শিফট করাতে হবে। ওইখানে অনেকে আসেন। ফুটপাতে কালো-কালো ত্রিপল দিয়ে ঘেরা। একটু দূরে গিয়ে খাবার খাবেন। ফুড জোন করে দেওয়া হোক।” এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, “বিধাননগর পুর এলাকায় জবর দখল নিয়ে সুজিতকে তোপ মমতার – ফুটপাত বা রাস্তা জবরদখল নিয়ে তিনি গত কয়েকদিন ধরে বলছেন। ওনার নজর সুজিত বসুর দিকে আছে। এদিকে বড়বাজারে রাস্তার ১০০ ভাগ দখল হয়ে গিয়েছে। বউবাজারের রাস্তা ৭৫ ভাগ রাস্তা অটো, ম্যাটাডোরে দখল হয়ে গিয়েছে। সেখানে পুলিশ ও তৃণমূল নেতারা পয়সা নেয়। মুখ্যমন্ত্রী নগরোন্নয়ন মন্ত্রীকে বলুন না, কলকাতা পুরনিগমের গায়ের রাস্তাটাকে উনি দখলমুক্ত করে দেখান। উনি নাটক করছেন, লোক দেখাচ্ছেন, সাধু সাজছেন। সব কিছুর মাথা উনি, এখন এর ঘাড়ে-ওর ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছেন।”