কলকাতা: লোকসভা ভোট মিটতেই রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভার চেয়ারম্যানদের নিয়ে বৈঠক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকের শুরু থেকেই অগ্নিমূর্তি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিভিন্ন জায়গায় পুর প্রশাসনের কোথায় কী খামতি, কোথায় কী সংশোধন প্রয়োজন… সব ধরে ধরে তুলে আনলেন মুখ্যমন্ত্রী। কোথায় কোথায় লোকবল খামোখা নষ্ট হচ্ছে বলে মনে করছেন, সে কথাও তুলে ধরেন তিনি। সেই প্রসঙ্গেই সোমবার নবান্ন সভাঘরের বৈঠকে উঠে এল দিঘা-শঙ্করপুর ডেভেলপমেন্ট অথরিটির কথাও।
ভরা সভায় সকলের সামনে মুখ্যমন্ত্রী একরাশ বিরক্তি প্রকাশ করেন প্রশ্ন তোলেন দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে। তিনি বলেন, “দিঘা ডেভেলপমেন্ট অথরিটির প্রয়োজন আছে কি এখন আর? ওখানে তো পুরসভাও আছে, পঞ্চায়েতও আছে, জেলাশাসকও আছেন। বিরাট বাড়ি বানিয়ে ৪০০-৫০০ লোক… কারও গা টিপছে, কারও পা টিপছে, কারও মাথা টিপছে। বড় বড় বিল্ডিং করে থাকছে, আরাম করছে। যেখানে সরকারের স্টাফ কম, সেখানে তাঁদের কাজে লাগিয়ে দাও।”
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, “আরবান ডিপার্টমেন্টের সেক্রেটারি, কী কাজ তাঁর? ডিপার্টমেন্টরা রাখারই দরকার কী? কতগুলি বোর্ড রেখে দিয়েছেন, ৪০০-৫০০ করে লোক রেখে দিয়েছে। গা টিপছে, না পা টিপছে?” শুধু দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদই নয়, হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ নিয়েও একই মত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁর কথায়, ‘হলদিয়াতেও তো পুরসভা রয়েছে। লাভ কী হল?’