তালিবানি তালুক থেকে কতজন বাংলায় ফিরলেন, জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Mamata Banerjee: আফগান-পরিস্থিতি নিয়ে আগামী ২৬ অগস্ট সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছে কেন্দ্র। দেশের স্বার্থে, দশের স্বার্থে অবশ্যই তৃণমূল এই বৈঠকে অংশ নেবে বলে জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী।

তালিবানি তালুক থেকে কতজন বাংলায় ফিরলেন, জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 23, 2021 | 5:38 PM

কলকাতা: কর্মসূত্রে বহু মানুষ বাংলা থেকে আফগানিস্তানে গিয়ে রয়েছেন। বৈবাহিক বা কোনও সামাজিক সম্পর্কের ভিত্তিতেও বহু মানুষ রয়েছেন সেই মুলুকে। সম্প্রতি নবান্নের তরফে জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয় কতজন বাংলা থেকে আফগানিস্তানে রয়েছেন, তার তালিকা যেন তৈরি করা হয়। সোমবার নবান্নে তা নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিন সেই তালিকা নিয়ে প্রশ্নে জবাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় বলেন, “বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি হলেই জানাব। এসবে দেশের ব্যাপার জড়িয়ে, রাজ্যের ব্যাপার জড়িয়ে। আমরা একসঙ্গেই কাজ করছি। সবাইকে যাতে ফিরিয়ে আনা যায় এখন সেটাই লক্ষ্য। বিস্তারিত যখন হাতে পাব, আমাদের কাছে রিপোর্টিং করবে, তখন আমরা আপনাদের জানাতে পারব।”

অন্যদিকে আফগান-পরিস্থিতি নিয়ে আগামী ২৬ অগস্ট সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছে কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় এই বৈঠক হবে। তৃণমূলের অংশগ্রহণ নিয়েও সোমবার জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশের স্বার্থে, দশের স্বার্থে অবশ্যই তৃণমূল এই বৈঠকে অংশ নেবে বলে জানিয়ে দেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বক্তব্য, “বিদেশমন্ত্রক যদি সর্বদল ডাকে, আফগান তালিবানের মতো বিষয়ে যদি বৈঠক ডাকা হয় সেখানে নিশ্চয়ই যাবে।”

একই সঙ্গে যে জাতিশুমারি নিয়ে বিহারের রাজনীতিতে হইচই পড়ে গিয়েছে, তা নিয়ে বাংলা কী ভাবছে সে প্রসঙ্গেও নিজের বক্তব্য জানান মুখ্যমন্ত্রী। জাতিভিত্তিক জনগণনার দাবিতে সোমবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। সে রাজ্যের ১১টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা সেখানে যান। বৈঠক শেষে নীতীশ কুমারের বক্তব্য, ভালই আলোচনা হয়েছে। তাঁরা আশাবাদী। এ প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও জানতে চাওয়া হয়েছিল, বাংলায় জাতি শুমারি নিয়ে কোনও পরিকল্পনা কি রয়েছে?

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি এটা নিয়ে এখন কিছু আলোচনা করছি না। যেহেতু এটা আমার এখন আলোচ্য বিষয় নয়। এক একটি রাজ্যের এক একটা সেন্টিমেন্ট থাকে। যখন আলোচনা হবে, সব কিছুর যদি শুমারি হয় আমার আপত্তি কিসের? যদি সবক’টা রাজনৈতিক দল করে আমি কি ঝগড়া করতে যাব নাকি? আমার তো কোনও আপত্তি নেই। আর আমরা উঁচু-নিচু, ছোট-বড় কোনও ভেদাভেদ করি না। যদি সকলে মেনে নেয়, যদি সব রাজ্যে এ পথে হাঁটে আমার কী সমস্যা। আগে তা হচ্ছে কি না দেখুন। সবে তো আলোচনা হয়েছে। নীতীশজী ওনার একটা বক্তব্য জানিয়েছেন।”

একই সঙ্গে এদিন রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি এবং স্কুল খোলা নিয়েও বড় ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলে ভাইফোঁটার পরই স্কুল খোলা হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে যে সমস্ত বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন রয়েছে, তা দ্রুত করানো নিয়ে সরব হন তিনি। আরও পড়ুন: পুজোর পর কি আদৌ স্কুল খুলবে? রাজ্যে স্কুল খোলা নিয়ে বড় ঘোষণা মমতার!