‘ফুচকা খাওয়ার ক্ষমতা নেই, ফুলকো লুচি খাবে’! মমতার কটাক্ষ অমিতকে
বিরোধীদের প্রতি যতই কটাক্ষের তেজ থাকুক না কেন, 'লক্ষ্মণরেখা' বজায় রাখার বিষয়টি আজ স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাঁর কথায়, "আমি এমন কোনও কথা বলব না যাতে লক্ষ্মণের রেখা অতিক্রম করে গিয়ে সীতা হরণ হবে।"
কলকাতা: “প্রতিশ্রুতি দেওয়া অপরাধ আমি মনে করি।” আন্তর্জাতিক প্রমিস ডে-তে একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে এক সভায় অংশ নিয়ে বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “(অন্য) কেউ যদি কাজ না করে, তবে প্রতিশ্রুতি দিলে সবসময় কাজ করা যায় না।”
তবে মমতা এ দিন বলেছেন, “আমি বিজেপি সরকারের মতো প্রতিশ্রুতি দিই না, আমি ফলশ্রুতি করি। কারণ, আমি মনে করি কথা রাখাটাই মানুষের সবচেয়ে বড় কাজ।”
রাজনৈতিক আক্রমণে বিরোধীদের প্রতি যতই কটাক্ষের তেজ থাকুক না কেন, ‘লক্ষ্মণরেখা’ বজায় রাখার বিষয়টি আজ স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাঁর কথায়, “আমি এমন কোনও কথা বলব না যাতে লক্ষ্মণের রেখা অতিক্রম করে গিয়ে সীতা হরণ হবে। সব রাজনৈতিক দলের এই সৌজন্য রাখা উচিত। সৌজন্যতা একতরফা হয় না।”
সেই রাজনৈতিক সৌজন্য বিজেপি বজায় রাখতে পারছে না বলেই এই অনুষ্ঠানে দাবি করেছেন মমতা। পাশাপাশি কটাক্ষে বিঁধেছেন অমিত শাহকে (Amit Shah)। এ দিন কোচবিহারে সভা ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। সেই প্রসঙ্গ টেনে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান বলেছেন, “তিনি এসে যে কথাগুলো বলে গেলেন, তার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, ভাষার কর্দযতা, এবং দৈত্যপরাণয় মনোভাব, যেন শারীরিকভাবে ধমকানি দিতে এসেছেন।” শাহকে খোঁচা দিয়ে তিনি আরও বলেন, “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাকে গালি দিতে পারেন, কিন্তু ইগনোর (অবহেলা) করতে পারবেন না। বক্তৃতা শুনে মনে হচ্ছিল, ফুচকা খাওয়ার ক্ষমতা নেই, ফুলকো লুচি খাবে। আলু গোভি, আলুর দম দিয়ে।”
আরও পড়ুন: টিকাকরণ প্রক্রিয়া শেষ হলেই মিলবে নাগরিকত্ব, মতুয়াদের আশ্বাস অমিতের
এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত স্বেচ্ছাসেবক সংস্থার কর্মীদের তাঁদের নাম, ফোন নম্বর ও সংস্থার নাম নথিভুক্ত করা নির্দেশ দিয়ে মমতা আশ্বাস দেন, “আমি সবার জন্য কাজের ব্যবস্থা করব।” তবে যেহেতু তিন-চার দিনের মধ্যে নির্বাচন ঘোষণা হয়ে যাবে, তাই এই সংগঠনগুলির জন্য কী করতে চান তা খোলসা করেননি মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযানে ঝরল রক্ত! আগামিকাল ১২ ঘণ্টার হরতালের ডাক বামেদের