মধ্যমগ্রাম : রাস্তার সমস্যা রয়েছে রাজ্যের একাধিক জায়গায়। আর বর্ষার কারণে সেই সমস্যা বেড়েছে আরও। আজ মধ্যমগ্রামে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সেই সমস্যার কথাই বলেন মিনাখাঁর বিধায়ক উষা রানি মণ্ডল। তার উত্তরে ভেড়িই সমস্যার কারণ বলে ব্যাখ্যা করেন মমতা। মালিকদের সাহায্য চাওয়া যায় কি না, সেই ব্যাপারে ভাবনা-চিন্তার কথাও জানান তিনি।
মিনাখাঁর বিধায়ক এ দিন বলেন, ঝড়ে এলাকার অনেক রাস্তা ভেঙে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জবাবে বলেন, ভেড়ি থাকা জন্য়ই ওই এলাকায় এই পরিস্থিতি হয়। বারবার রাস্তা সারিয়েও কোনও লাভ হচ্ছে না বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মমতা বলেন, ‘তোমার তো ভেড়ি এলাকা। প্রাকৃতিক ব্যাপারটা তো বুঝবে। বর্ষা হলেই ভেড়ি ডুবে যাচ্ছে।’ প্রত্যেক বছর এ ভাবে জলেই সব টাকা চলে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। মমতা বলেন, ‘কত টাকা আর দেব জলে, জল থেকে টাকাটা তুলতে হবে।’
মমতা এও বলেন, ভেড়ি মালিকরাই অনেক সময় রাস্তা খারাপ করে দেয় বলে শুনেছি। তাই রাস্তা সারানোর জন্য ভেড়ি মালিকদের থেকে কোনোভাবে টাকা তোলা যায় কি না, সেই বার্তাও দেন তিনি। মুখ্যসচিবকে বলেন, ‘ওদের যদি কিছু টাকা দিতে বলা যায়, ওদের অনেক টাকা, বড় বড় ভেটকি মাছ খায়।’
অন্যদিকে সন্দেশখালিতে জল জমার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর কথা বলেন মমতা। চাষের জমিতে কেন জল জমছে, সে কথা বলতে গিয়ে মমতা বলেন , ‘আগে যেখানে ১০ দিন বৃষ্টি হত , এখন সেখানে ১০০ দিন বৃষ্টি হচ্ছে। আগামী বছর কী হবে জানি না।’ মমতার কথায়, ‘গ্লোবাল ওয়ার্মিং একটা জেঞ্জারাস জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের এটা ভাবা উচিৎ।’ মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে মমতা বলেন, ‘এই বিষয়ে নীতি আয়োগকে একটা চিঠি লেখা যেতে পারে।’ এমনকি বিশ্ব ব্যাংককে এ বিষয়ে চিঠি লেখা যেতে পারে কি না, তাও জিজ্ঞাসা করেন মুখ্যসচিবকে। পাশাপাশি, বিধায়ককে মমতা পরামর্শ দেন, নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে যখন কোনও ওয়ার্ল্ড সামিট হবে, তখন এই ইস্যুগুলো তুলতে হবে।
আরও পড়ুন : Suvendu Adhikari: ‘নতুন নতুন ফ্লেভারের মদ আছে, কর্মসংস্থান নেই’, বিধানসভা ওয়াক আউট করে মন্তব্য শুভেন্দুর