Deocha Pachami: বুধবারই জমিদাতাদের হাতে ক্ষতিপূরণের ১৩ লক্ষ টাকা তুলে দেবেন মমতা
Deocha Pachami: বুধবার সকালে দেউচা পাচামি কয়লা খনি এলাকার ৫০ জন আসছেন নবান্নে। তাঁদের হাতে চাকরির নিয়োগপত্র এবং বিঘা প্রতি ১৩ লক্ষ টাকা তুলে দেবেন মমতা।
কলকাতা : বীরভূমের দেওচা পাচামি খনি প্রকল্পের বিরুদ্ধে ক্রমশ তীব্র হয়েছে প্রতিবাদ। বারবার দেখা গিয়েছে আদিবাসী মহিলাদের মিছিল। লাঠি-তির-ধনুক নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন তাঁরা। এরই মধ্যে শুরু হল জমি প্রদানকারীদের হাতে ক্ষতিপূরণ তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া। বুধবার নবান্নে তাঁদের হাতে ক্ষতিপূরণ ও চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই দেউচা পাচামি কয়লা খনি এলাকা থেকে ৫০ জন রওনা হয়েছেন নবান্নের দিকে। এ দিন সেখানে মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেবেন। বিঘা প্রতি ১৩ লক্ষ টাকা করে দেবেন তাঁদের।
রাজ্য সরকার যে প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন, সেই অনুসারে জমিদাতাদের কয়েকজনের হাতে এ দিন ক্ষতিপূরণের চেক ও চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হবে। এই খনি প্রকল্পের ক্ষেত্রে নানা বাধা এসেছে। সেই বাধা যাতে কেটে যায়, সে জন্যই তৎপর হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। গত সোমবারই জমিদাতাদের জন্য বাড়তি কিছু সুবিধা ও ক্ষতিপূরণের প্যাকেজ আরও বাড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই ঘোষণা অনুযায়ী, প্রতি বিঘা জমির জন্য ১৩ লক্ষ টাকা দিচ্ছে রাজ্য সরকার।
এর আগে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, শুধুই কনস্টেবলের চাকরি পাবেন জমিদাতারা। কিন্তু পরে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৫ হাজার ছেলে মেয়ে হোমগার্ড ও কনস্টেবলের চাকরি পাবে। শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী দেওয়া হবে গ্রুপ সি পদের চাকরিও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, যাঁরা বাড়ি বা জমি দিচ্ছেন, তাঁদের যদি যোগ্যতা থাকে তাহলে তাঁরা সেই মতো গ্রুপ সি-র চাকরি পাবেন।
মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জানিয়েছেন, যাঁরা জমি দিচ্ছেন তাঁদের জমির দামের দ্বিগুন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে। শুধু জমিদাতারাই নন, যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে ওখানে বসবাস করেন, অথচ জমির কোনও রেকর্ড নেই, তাঁদেরও ক্ষতিপূরণের প্যাকেজ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও জানান, জমির বদলে জমি দেওয়া হচ্ছে, সঙ্গে বাড়ি করার জন্য টাকা দেওয়া হচ্ছে অথবা বাড়ি তৈরিও করে দেওয়া হচ্ছে। আগে ৬০০ স্কোয়ার ফুট জায়গা ছিল একটা বাড়ি করার জন্য সঙ্গে ৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। পরে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ৭০০ স্কোয়ার ফুট জায়গার সঙ্গে ৭ লক্ষ টাকাও দেওয়া হবে বাড়ি করার জন্য। শিফটিং অ্যালাওয়েন্স হিসেবে এককালীন ১ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, রাজ্য সরকার এই প্রকল্পের জন্য অনেক টাকা খরচ করবে। কিন্তু কিছু খাদান মালিক বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। মানুষকে ভুল বোঝানো হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। মার্চ মাসে মমতা বীরভূমে যাবেন বলেও জানা গিয়েছে।