Kolkata: রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন ‘সংহতি যাত্রায়’ মমতা, তার আগেই পথে কলকাতার বাম বুদ্ধিজীবীরা

Pradipto Kanti Ghosh | Edited By: জয়দীপ দাস

Jan 17, 2024 | 6:33 PM

Kolkata: তবে কড়া প্রতিক্রিয়া দিতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে। তিনি বলছেন, “বামেরা আসলে দুমুখো সাপ। ওরাই বিজেপির ধারক-বাহক। বামেদের মিছিলে যাঁরা যায় তাঁরাই তো বিজেপিকে গিয়ে ভোট দিয়ে আসে।”

Kolkata: রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন ‘সংহতি যাত্রায়’ মমতা, তার আগেই পথে কলকাতার বাম বুদ্ধিজীবীরা
প্রতীকী ছবি
Image Credit source: Facebook

Follow Us

কলকাতা: হাতে আর মাত্র ক’টা দিন। তারপরেই রাম মন্দিরের উদ্বোধন। দেশজুড়ে তুঙ্গে তরজা। যে দিন অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধন হবে, সে দিনই রাজ্যে ‘সংহতি যাত্রা’র ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবারই সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা জানান মমতা। তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চার মধ্যেই এবার পথে নামততে চলেছে বাম বুদ্ধিজীবীরা। পশ্চিমবঙ্গের সাংস্কৃতিক কর্মীরা আগামী ২০ জানুয়ারি বিকেল ৩ টে থেকে ৬ টা অবধি রাণুচ্ছায়া মঞ্চে একটি নাগরিক সভার ডাক দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই বিবৃতি দিয়ে সে কথা জানিয়েছেন রজত বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গ গণতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক রজত বন্দ্যোপাধ্যায়। 

ওই সভায় বামেদের রাজ্য নেতৃত্ব থাকতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। বিভিন্ন স্তরের নেতারাও থাকবেন। একইসঙ্গে সমস্ত প্রগতিশীল মানুষের কাছেও আসার আহ্বান করা হয়েছে। তাঁরাও থাকবেন।  থাকবেন বুদ্ধিজীবী মহলের একাধিক বিশিষ্টজনেরাও। থাকবেন পবিত্র সরকার, শমীক বন্দ্যোপাধ্যায়, অশোক মুখোপাধ্যায়, অশোকনাথ বসু, রঞ্জন প্রসাদ, অসিত বসুর মতো বিশিষ্ট শিল্পী ও বুদ্ধিজীবীরা। তাঁদের দাবি, বর্তমানে দেশে যে অবস্থা চলছে তাতে দেশের গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং সংবিধান বিপন্ন। সে কারণেই কোন পথে এগুলিকে রক্ষা করা যায় তাঁর খোঁজ করতেই ডাক দেওয়া হচ্ছে এই সভার।

শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার বলছেন, “ভারতের যে অবস্থা চলছে তাঁর পরিবর্তন চাই আমরা। কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারা সংবিধান লঙ্ঘিত। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিঙ্য ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে। নাগরিক জীবন বিপন্ন। দরিদ্রদের উপর চরম অত্যাচার চলছে। এর মধ্যে ধর্মের ধ্বজা ওড়ানো চেষ্টা করা হচ্ছে। ধর্মের কারণে মন্দির হতে পারে। কিন্তু, এর পিছনে বড় রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে ধর্মকে ব্যবহার করা হচ্ছি।” এখানেই না থেমে তিনি আরও বলছেন, “আমরা ভয়ে আছি, রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন শান্তি কতটা থাকবে, মানুষদের জীবন ঠিকমতো থাকবে কিনা। এর বিরুদ্ধেই আমাদের প্রতিবাদ, ধিক্কার। শাসকদল বিজেপি সহ গোটা গেরুয়া শিবির যে অভিমুখে দেশকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে তার পরিবর্তন হওয়ার প্রয়োদন রয়েছে। আমরা চাই সেটা নাগরিকদের কণ্ঠে তার প্রতিবাদ ধ্বনিত হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। সে কারণেই আমাদের এই কর্মসূচি। সমাজের প্রগতিশীল মানুষদের কাছে এই কর্মসূচিতে আসার জন্য আবেদন জানাচ্ছি।” 

তবে কড়া প্রতিক্রিয়া দিতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে। তিনি বলছেন, “বামেরা আসলে দুমুখো সাপ। ওরাই বিজেপির ধারক-বাহক। বামেদের মিছিলে যাঁরা যায় তাঁরাই তো বিজেপিকে গিয়ে ভোট দিয়ে আসে। বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দিতে এসব করছে। যাঁরা বিজেপি বিরোধী তাঁরা তৃণমূল ছাড়া অন্য কোনও দলকে বিশ্বাস করবে না।” কটাক্ষ করেছে বিজেপিও। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “এই ভারত ওদের ও চায় না। তাই ওদের শূন্য করে দিয়েছে।”

Next Article