কলকাতা: মানিকতলায় সাধন পাণ্ডের বিকল্প ছিল না। তাঁর বিরুদ্ধে গোষ্ঠীর কথা শোনা যায় ঠিকই, তবে সাধন ছিলেন অপরাজেয়। একটানা ৯ বার জয়ী হয়ে বিধায়ক হন তিনি। বলা যায়, বিধানসভা ভোটে কখনও হারেননি সাধন পাণ্ডে। সেই সাধনের বাড়ির অন্দরমহলেই এবার ফাটল? এমনই প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে। উপ নির্বাচনে প্রার্থী করা হয়েছে সাধনের স্ত্রী সুপ্তি পাণ্ডেকে। TV9 বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুপ্তি জানালেন, শ্রেয়া ছিলেন অভিষেকের পছন্দের পাত্রী আর তাঁকে পছন্দ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশ্ন উঠছে, ঘাসফুল শিবিরও কি প্রার্থী বাছাই নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত?
বিরোধীরা যখন মা-মেয়ের দ্বন্দ্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, তখন সুপ্তি বলছেন, শ্রেয়ার খারাপ লাগতেই পারে। তিনি বলেন, “ছেলেমানুষ দুঃখ করতেই পারে। শ্রেয়ার ভিতর একটা শিশুসুলভ মন আছে। সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়ে হয়েও যে কোনও জায়গায় যেতে পারে ও। শো অফ করে না। পরিবার থেকেই এসব শিখেছে। শিখেছে কীভাবে মানুষকে আপন করে নিতে হয়।”
প্রার্থী বাছাই নিয়ে কি মমতা-অভিষেক দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে? এ কথা শুনেই সুপ্তি বলেন, ‘বিতর্কিত মন্তব্য করতে চাই না। মমতা-অভিষেক একে অপরের খুবই কাছের।’ তবে শ্রেয়া যে অভিষেকের পছন্দের পাত্রী, সেটা স্পষ্ট করে দিলেন সুপ্তি।
সুপ্তি বলেন, “অভিষেকের খুব প্রিয় পাত্রী শ্রেয়া। দাদা (সাধন পাণ্ডে) ওদের বাড়িতে যেন। অভিষেককে ক্যাডবেরি দিত। ও মারা যাওয়ার সময় অভিষেক আমাকে মায়ের মতো জড়িয়ে রেখেছিল। এর মধ্যে অন্য কোনও গন্ধ নেই। সেই সম্পর্কের জায়গা থেকে শ্রেয়াকে ও ভালবাসে। আর মমতার ভালবাসা বেশিরভাগটাই আমার দিকে গিয়েছে। সেটা আমার সৌভাগ্য।”
তবে এই ইস্যুতে কটাক্ষ করতে ছাড়ছেন না বিজেপি। সজল ঘোষ বলেন, “বাড়ির ভিতরে কাকা-জ্যাঠার যুদ্ধ দেখেছি, দুই ভাইয়ের লড়াই দেখেছি। এবার মা মেয়ের লড়াই দেখব।”
সাধনের মৃত্যুর পর শ্রেয়া যে সংগঠন গুছিয়ে রেখেছেন, সে কথা উল্লেখ করেছেন সুপ্তি। তিনি জানিয়েছেন, শ্রেয়া ঘরে ঘরে মানুষের আদর পেয়েছে, বিভিন্ন স্কিম মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছে। হেল্পলাইনের মাধ্যমে এলাকার মানুষের জন্য কাজ করা হয়েছে। তাই জয়ের ব্যাপারে ১০০ শতাংশ আত্মবিশ্বাসী সুপ্তি।