Fire at Taratala: বিধ্বংসী আগুন শহরে! দাউ দাউ করে জ্বলছে গুদাম, অনর্গল বেরিয়ে আসছে কালো ধোঁয়া
Taratala Fire: তারাতলায় যে গোডাউনে আগুন লেগেছে, সেখানে বন্দরের বিভিন্ন সামগ্রী মজুত রয়েছে।
কলকাতা: ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড তারাতলায়। একটি গুদামে এই আগুন লাগে শনিবার সকালে। প্রাথমিক ভাবে দমকলের ১২টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। গোটা এলাকা ঢেকে গিয়েছে কালো ধোঁয়ায়। দাহ্য বস্তুর মজুতের কারণে ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে আগুনের লেলিহান শিখা। ইতিমধ্যেই সাত থেকে আটটি গোডাউনে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে বৃষ্টির দোসর ঝোড়ো হাওয়া আশঙ্কা বাড়াচ্ছে।
তারাতলায় এফসিআই (FCI)-এর যে গোডাউনে আগুন লেগেছে, সেখানে বন্দরের বিভিন্ন সামগ্রী মজুত রয়েছে। কী ভাবে এই আগুন লাগল তা এখনই স্পষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। এলাকায় ঢোকার বিভিন্ন রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যেহেতু এই গোডাউনে প্রচুর দাহ্য বস্তু মজুত, তাই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হচ্ছে দমকল কর্মীদের। যে এলাকায় এই আগুন লেগেছে, তার আশেপাশে কোনও বাড়ি নেই ঠিকই। তবে যেহেতু শতাধিক গোডাউন রয়েছে এই চত্বরে, স্বভাবতই বাড়ছে উদ্বেগ।
দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু বলেন, “আমাদের সিনিয়র অফিসাররা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। খবর সবই আসছে। আমরা আশা করছি সবরকম ব্যবস্থা নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনব। আমি যা জানতে পেরেছে ওখানে প্রায় ১০০টা গোডাউন রয়েছে, পাঁচটি গোডাউনে ছড়িয়েও গিয়েছে।”
তারাতলার ময়লা ডিপোতে পর পর ফুড কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া (FCI)-এর বেশ কিছু গোডাউন রয়েছে। শনিবার সেখানেই আগুন লাগে। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে সাত থেকে আটটি গোডাউনে আগুন লেগে যায়। দাউ দাউ করে জ্বলতে শুরু করে সেটি। এই গোডাউনগুলির মধ্যে কোথাও কোথাও বৈদ্যুতিন সামগ্রীও মজুত রয়েছে। ফলে এই আগুন লাগার ফলে দাহ্য বস্তুগুলি জ্বলতে শুরু করে। ক্রমেই ভয়াবহ রূপ নেয় এই আগুন।
আগুন নেভাতে গিয়ে নাকাল হতে হয় দমকলকর্মীদের। কারণ, আবহাওয়াও প্রতিকূল। বৃষ্টি নামলেও সঙ্গে হাওয়ার দাপট থাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে সহজেই। সিভিল ডিফেন্স ও দমকল কর্মীরা যৌথ ভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ করছে। দুপুর ১টা নাগাদ নিয়ে আসা হয় রোবট। তখনও অবধি হিমশিম খাচ্ছেন দমকল কর্মীরা।
ডানকুনিতেও ভয়াবহ আগুন ব্যাটারি কারখানায়
শনিবার সকালেই ডানকুনিতে দিল্লি রোডের উপর একটি ব্যাটারি কারখানায় আগুন লাগে শনিবার সকালে। সকাল ৯টা নাগাদ কারখানার কর্মীরা আগুন দেখতে পান। তাঁরাই প্রাথমিক ভাবে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। কিন্তু মুহূর্তে আগুন ভয়াবহ চেহারা নেয়। একের পর এক দমকল ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে এই আগুন বলে প্রাথমিক অনুমান। প্রথমে তিনটি দমকলের ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। পরে আনা হয় একটি হাইড্রলিক ল্যাডার ও আরও দু’টি দমকলের ইঞ্জিন। কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এরপর শুরু হয় ‘কুলিং প্রসেস’।
আরও পড়ুন: Post Poll Violence: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় চতুর্থ চার্জশিট CBI’র, নাম রয়েছে ১৫ জনের
আরও পড়ুন: ‘পাশে রয়েছেন শুভেন্দু, বহু বার ফোনে কথাও হয়েছে’, অকপট শিক্ষক নেতা মইদুল