কলকাতা: কখনও রাজনীতি, কখনও অভিনয়, প্রায়শই খবরের আঙিনায় জোর চর্চা চলে যাদবপুরের সাংসদ মিমি চক্রবর্তীকে নিয়ে। বিনোদনের দুনিয়ায় নাম লিখিয়ে অভিনয় জগতে পা রাখলেও পরবর্তীতে চলে আসেন রাজনীতির দুনিয়াতেও। তৃণমূল কংগ্রেসের হয়েই নামেন ভোটের ময়দানে। সেই মিমির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কত টাকা আছে জানেন? বাড়িতে আছে ক’টা গাড়ি? ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা বলছে, ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষে মিমি চক্রবর্তীর আয় ছিল ১১ লক্ষ ৭৯ হাজার ৮৪৬ টাকা। ২০১৪-১৫ অর্থবর্ষে আয় ১২ লক্ষ ৭৫ হাজার ১৪৮ টাকা। ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে আয় ১৮ লক্ষ ৮৭ হাজার ৬৯৭ টাকা।
২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে আয় ২৯ লক্ষ ৩২ হাজার ৯০৯ টাকা। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে আয় ছিল ১৫ লক্ষ ৩৯ হাজার ৭১৭ টাকা। যে সময় এই হলফনামা জমা দেওয়া হয় সেই সময় তাঁর হাতে নগদ ছিল ২৫ হাজার। নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় তাঁর দুটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য রয়েছে। তাঁর মধ্যে একটি ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্টে ৫৯ লক্ষ ৮৯ হাজার ৭৯০ টাকা ৬৫ পয়সা রয়েছে। অন্য একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রয়েছে ১২ লক্ষ ৩৪০ টাকা ৭১ পয়সা।
২০১১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ আশুতোষ কলেজ থেকে স্নাতক হন মিমি। মিউচুয়াল ফান্ডেও বিনিয়োগ করেছেন তিনি। ৪টি ১০ হাজারের ফান্ড যেমন রয়েছে, তেমনই ২টি ফান্ড রয়েছে ৫ হাজারের। ৯৬ হাজারের একটি জীবন বিমাও রয়েছে। রয়েছে দু’টি চারচাকা। একটি চারচাকার দাম ১১ লক্ষ ৭২ হাজার ২৫০ টাকা। অন্য একটি চারচাকার দাম ৩০ লক্ষ ৫১ হাজার ২৩ টাকা। রয়েছে ৫ লক্ষ ৫৯ হাজার ১৩ টাকার সোনা। ঋণ রয়েছে ১৯ লক্ষ ৭৮৮ টাকার। মোট অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ১ কোটি ২৪ লক্ষ ৭০ হাজার ১১১ টাকা ৩৬ পয়সা।
২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে কসবায় একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন অভিনেত্রী সাংসদ। নিজের হলফনামায় তিনি জানিয়েছেন, কেনার সময় ফ্ল্যাটটির দাম পড়েছিল ১ কোটি ১৯ লক্ষ ২৮ হাজার ৬৭৫ টাকা।