কলকাতা: শুক্রবার সকালেই সন্দেশখালি যাচ্ছে নড্ডার হাতে তৈরি বিজেপির হাই পাওয়ার কমিটি। বুধবারই এই হাই পাওয়ার কমিটি গঠন করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা। ছয় সদস্যের ওই কমিটিতে রয়েছেন চার জন সাংসদ ও দু’জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। নাড্ডার তৈরি এই কমিটিতে রয়েছেন তিন লোকসভার সাংসদ, সঙ্গীতা দুগ্গল, কবিতা পতিদার, সঙ্গীতা যাদব ও একজন রাজ্যসভার সাংসদ বৃজলাল। পাশাপাশি অন্নপূর্ণা দেবী ও প্রতিমা ভৌমিক – এই দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও রয়েছেন হাই পাওয়ার কমিটিতে। উল্লেখ্য, এই হাই পাওয়ার কমিটির সদস্য বৃজলাল সাংসদ হওয়ার পাশাপাশি প্রাক্তন পুলিশ কর্তাও। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের প্রাক্তন ডিজি তিনি।
সন্দেশখালিতে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে যে ধরনের অভিযোগগুলি উঠে আসছে তাতে হইচই পড়ে গিয়েছে জাতীয় রাজনীতিতেও। বিশেষ করে সেখানকার মহিলারা যে মারাত্মক অভিযোগগুলি তুলছেন, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে দিল্লির রাজনীতির অন্দরমহলেও। মহিলারা যে অভিযোগগুলি তুলছেন, তা অত্যন্ত হৃদয়বিদারক বলেই মনে করছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। বিজেপির থেকে বিবৃতি প্রকাশ করে ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলা হয়েছে, ‘মহিলাদের উপর উৎপীড়ন ও গুন্ডাগিরির যে অভিযোগ উঠছে, তাতে প্রশাসন নীরব দর্শকের ভূমিকায় রয়েছে। গোটা রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।’
এমন অবস্থায় তাই এবার একটি হাই পাওয়ার কমিটি গঠন করেছেন জে পি নাড্ডা। ছয় সদস্যের ওই হাই পাওয়ার কমিটি সন্দেশখালির বাস্তব পরিস্থিতি ঘুরে দেখবেন। সন্দেশখালির বাস্তব চিত্র সরেজমিনে ঘুরে দেখে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডার কাছে একটি রিপোর্ট জমা দেবে এই হাই পাওয়ার কমিটি। সেই মতো আগামিকাল সকালেই সন্দেশখালি যাচ্ছেন বিজেপির হাই পাওয়ার কমিটির সদস্যরা। এদিকে সন্দেশখালিতে বিজেপির টিম পাঠানো প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই কটাক্ষ করেছে তৃণমূল শিবির। রাজ্যের শাসক দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ কটাক্ষের সুরে বলেন, ‘মণিপুর বা অন্য জায়গায় মহিলাদের উপর নির্যাতন হলে, সেখানে তৃণমূল প্রতিনিধি দল পাঠালে, তাঁদের যেতে দেওয়া হত? নিজেরা সেই সব রাজ্যে গিয়েছেন যেখানে নারী নির্যাতন হত?’