কলকাতা: বিজেপি যুব নেতা অর্জুন চৌরাসিয়ার ‘আত্মহত্যা’ নিয়ে তোলপাড় হচ্ছে বঙ্গের রাজ্য-রাজনীতিতে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ (Union Home Minister Amit Shah) ঘটনাস্থলে গিয়ে সিবিআই (CBI) তদন্তের দাবি জানিয়ে এসেছেন। এদিকে কাশীপুরে বাড়ি থেকে মাত্র ৩০০ মিটার দূরে পরিত্যক্ত আবাসন থেকে অবস্থায় অর্জুনের দেহ উদ্ধার হয়েছে তাতেই উঠে গিয়েছে নানা প্রশ্ন। আপাত ভাবে আত্মহত্যা বলে মনে হলেও বিজেপি-র দাবি, অর্জুনকে খুন করে ঝুলিয়ে দিয়ে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা হচ্ছে। আর সেই কারণেই দেহ নিয়ে যেতে পুলিশকে বাধাও দেন বিজেপি কর্মীরা। একই অভিযোগে সরব হয়েছেন খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। তা নিয়েই এবার কটাক্ষ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
অমিতের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানিয়ে চন্দ্রিমার প্রশ্ন, “উনি কী রাজনৈতিক জ্যোতিষী? কোনও তদন্ত ছাড়াই স্টেটমেন্ট দিয়ে দিচ্ছেন! কোনও রকম ইনভেসটিগেশন ছড়াই বলে দিচ্ছেন এটা পলিটিক্যাল মার্ডার? উনি এখনই কীকরে এটা বুঝতে পারলেন”? এখানেই না থেমে তিনি বলেন, “কোনও হত্যাকারীদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক নেই। মৃত্যু নিয়ে অযথা রাজনীতি হচ্ছে। বাংলা জানে, গোটা দেশ জানে, প্রতিটি অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের নেত্রী সর্বদা আওয়াজ তুলেছেন। রাজ্যে বিরোধীর আসনে থাকার সময়েও তিনি একই কাজ করেছেন।সিঙ্গুরের সময় কোথায় ছিলেন আজকে যাঁরা কথা বলছেন? নন্দীগ্রামের সময় কোথায় ছিলেন? উনি বলছেন আজকে সিপিএমের থেকে বেশি হিংসা হচ্ছে বাংলায়! গুজরাটে যখন হিংসা হয়েছিল তখন তিনি কী করছিলেন? গুজরাটের হিংসার কথা মনে পড়ছে না? আজকাল সিপিএমের হাতে তামাক খাচ্ছেন নাকি? ওদের দোষ দেখতে পাচ্ছেন না”?
ইতিমধ্যেই অর্জুনের দেহ উদ্ধার করে আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেই আত্মহত্যা নাকি খুন, সেই রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। এদিকে যখন দেহ উদ্ধার হয়েছিল তখন দেখা গিয়েছে মৃত অর্জুনের মুখ জিভ বের হয়নি। এদিকে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনায় মৃতের জিভ বেরিয়ে যায় ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রে। তবে মৃত্যুর পর অর্জুনের মুখ থেকে জিভ না বের হলেও লালারস বেরিয়েছে। তবে বিষ খাইয়ে মারা হলেও এই ভাবে লালারস বের হতে পারে বলে অনুমান পুলিশের। তবে ধোঁয়াশা কাটাতে অপেক্ষা করতে হবে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য।