Jagannath Prasad: জগন্নাথের প্রসাদ চাইছেন সংখ্য়ালঘুরাও: TMC কাউন্সিলর
Jagannath Prasad: বিরোধী দলনেতার দাবি তৃণমূলের পাঠানো প্রসাদ আসলে প্রসাদই নয়। তিনি বলেন, "কোনটা প্রসাদ? এটা আসলে মিষ্টি। গজা, প্যাড়া, মিষ্টি এটা হালাল খাবার। কোনও হিন্দু খাবেন।"

কলকাতা: জগন্নাথদেব কার? তৃণমূলের না বিজেপি-র? এই নিয়ে রাজনৈতিক দড়ি টানাটানি আগেই হয়ে গিয়েছিল। এবার প্রসাদ বিলি নিয়ে চলছে চাপানউতোর। দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ বাড়ি-বাড়ি পৌঁছে যেতেই, বিরোধী শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছিলেন, এবার পুরীর প্রসাদও পৌঁছে যাবে ঘরে-ঘরে। তৃণমূলের প্রসাদ মানুষ প্রত্যাখান করবে বলছে বিজেপি। তবে পাল্টা তৃণমূলের দাবি, মানুষের চাহিদা বাড়ছে। এমনকী সংখ্যালঘুরাও এই প্রসাদ চাইছেন বলছে শাসকদল।
বিরোধী দলনেতার দাবি তৃণমূলের পাঠানো প্রসাদ আসলে প্রসাদই নয়। তিনি বলেন, “কোনটা প্রসাদ? এটা আসলে মিষ্টি। গজা, প্যাড়া, মিষ্টি এটা হালাল খাবার। কোনও হিন্দু খাবেন।” এ দিকে তৃণমূলের দাবি, এই প্রসাদ সকলে পাচ্ছেন। সব ধর্মের মানুষ এই প্রসাদ চাইছেন। ফিরহাদ হাকিম বলেন, “যাঁরা প্রসাদ গ্রহণ করতে চাইছেন, তাঁদের সকলের কাছে প্রসাদ পৌঁছে যাচ্ছে। প্রচুর মানুষ আছেন যাঁরা আনন্দের সঙ্গে এই প্রসাদ গ্রহণ করছেন। অনেকে আবার কেঁদে ফেলছেন।”
অপর দিকে ১১৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর রত্না শূর বলেন, “সব বাড়িতে প্রসাদ বিতরণ করা হচ্ছে। এমনকী যাঁরা রিক্সা চালক তাঁরা চাইলে তাঁদেরও দেওয়া হচ্ছে। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলে এই প্রসাদ পাচ্ছেন। মুসলমানরা বিতরণ করছেন। আমাদের একটি এলাকা আছে, নাম চাঁদ পাড়া। যেখানে ছেলেরা নিজেরা এসে বলছেন আমরা প্রসাদ বিতরণ করব? আমি বললাম হ্যাঁ। এই চাঁদ পাড়ায় ধরুন ১৫ শতাংশ মুসলমান। তাঁরাই আগ্রহী প্রসাদ বিতরণের জন্য। এটা ভাল লাগল।”

