কলকাতা: আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত সমস্যার জেরেই খুন। ভবানীপুর হত্যাকাণ্ডে খুনের মোটিভ স্পষ্ট করলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত কুমার গোয়েল। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত দীপেশ। ধৃত তিন জনের নাম রত্নাকর নাথ, সুবোধ সিংহ ও যতীন মেহতা। সিপি জানিয়েছেন, ধৃতরা প্রত্যেকেই লিলুয়ার বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, নিহত ব্যবসায়ী অশোক শাহ দীপেশকে ২০১৯ সালে ১ লক্ষ টাকা ধার দিয়েছিলেন। আর সেই আর্থিক লেনদেনের জেরেই খুন।
বেশ কিছু দিন ধরেই এই খুনের ছক কষা হচ্ছিল বলেও পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন। কেবলমাত্র লুঠপাট নয়, আক্রোশের জেরেই খুন করা হয়েছে দম্পতিকে। একটি সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, দীপেশ নিহতের মেয়ের জামাইয়ের ঘনিষ্ঠ। সেই সূত্রে পূর্ব পরিচিত।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল জানান, তিন জনকে গ্রেফতার করা হলেও আরও কয়েক জনকে সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, চার জন ফ্ল্যাটে ঢোকে। প্রথমে তাদের মধ্যে বচসা হয়। তারপরই দম্পতিকে খুন করে লুঠ করে পালায় দুষ্কৃতীরা। ঘরের ভিতর বিভিন্ন জিনিস লন্ডভন্ড ছিল। ধৃতদের মধ্যে সুবোধের বিরুদ্ধে আগেও পুলিশের খাতায় নাম ছিল। বাকি দু’জনের নাম ছিল না।
পুলিশ জানাচ্ছে, সিসিটিভি ফুটেজ-সহ একাধিক পারিপার্শ্বিক তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁদের। উল্লেখ্য, বুধবারই ভবানীপুরে নিহত দম্পতির মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশমন্ত্রী আগেই বলেছিলেন, এই ঘটনায় পরিচিতই কেউ জড়িত থাকতে পারেন। মূল অভিযুক্ত দীপেশই নিহতের মেজো জামাইয়ের পরিচিত বলে জানা গিয়েছে। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।