AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kasba Case: ‘আমার ছেলে ফেঁসে গেল…’, ল কলেজের গণধর্ষণের ঘটনায় বিস্ফোরক দাবি মায়ের

Kasba Case: তাঁর আরও দাবি, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ওই দাপুটে নেতাকে দেখেই ইউনিয়ন রুমে যেত তাঁর ছেলে। তিনি বুঝতে পারছেন না কেন তাঁর ছেলে এই কেসে জড়ানো হল। তিনি বলছেন, “মেয়েদের সঙ্গে খুব একটা কথাবার্তা বলত না। আমার ছেলে চঞ্চল হলেও খুব সাধারণ জীবন যাপন করতো।”

Kasba Case: ‘আমার ছেলে ফেঁসে গেল…’, ল কলেজের গণধর্ষণের ঘটনায় বিস্ফোরক দাবি মায়ের
কী বলছেন মহিলা? Image Credit: TV 9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jun 28, 2025 | 7:08 PM
Share

কলকাতা: “আমার ছেলে ৬ মাস মাত্র হয়েছে কলেজে ঢুকেছে। ওকে ফাঁসানো হয়েছে।” বিস্ফোরক দাবি কসবায় ল কলেজে গণধর্ষণ কাণ্ডে ৩ অভিযুক্তের মধ্যে একজনের মায়ের। ঘটনায় মূল অভিযুক্তের বাড়ি কালীঘাটে। সে আবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দাপুটে নেতা বলে পরিচিত। বাড়ি কালীঘাটে। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় তাঁকে গোটা ঘটনায় যে দু’জন সাহায্য় করেছিলেন বলে অভিযোগ তার মধ্যে একজনের বাড়ি হাওড়ায়, অন্যজনের তিলজলায়। তিলজলার অভিযুক্তের মা যদিও বলছেন, তাঁর ছেলেকে ফাঁসানো হচ্ছে। সে মূল অভিযুক্তের সঙ্গেই সর্বদা ঘুরত। বাড়িতেও সারাদিন ওরই নাম নিত। 

তিনি বলছেন, “২৫ জুন রাতে কলেজ থেকে বাড়িতে ফিরেছিল আমার ছেলে। কিন্তু ওর মধ্যে কোনওরকম অস্বাভাবিকতা দেখা যায়নি। ২৬ জুন সকালে বেরিয়ে যায় বাড়ি থেকে। কিন্তু তারপর আর ফেরেনি। রাতে আমার স্বামীকে ফোন করে জানানো হয় আমার ছেলে গ্রেফতার হয়েছে।” মহিলার আরও দাবি, মূল অভিযুক্তে তাঁর ছেলে দাদা হিসাবে একেবারে মাথায় করে রাখত। যতদিন কলেজে গিয়েছে ততদিন নাকি ওরই নাম করতো। এমনকী হাওড়ার যে যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে তার নামও তিনি ছেলের মুখে শুনেছেন বলে জানান। 

তাঁর আরও দাবি, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ওই দাপুটে নেতাকে দেখেই ইউনিয়ন রুমে যেত তাঁর ছেলে। তিনি বুঝতে পারছেন না কেন তাঁর ছেলে এই কেসে জড়ানো হল। তিনি বলছেন, “মেয়েদের সঙ্গে খুব একটা কথাবার্তা বলত না। আমার ছেলে চঞ্চল হলেও খুব সাধারণ জীবন যাপন করতো।” পুলিশ সূত্রে  খবর, বুধবার সন্ধ্যা সাতটা থেকে ১১টার মধ্যে কসবার ওই ল কলেজে ঘটে এই ভয়ঙ্কর ঘটনা। মূল অভিযুক্ত যখন ছাত্রীর উপর অকথ্য নির্যাতন চালাচ্ছে তখন তাকে পুরো কাজে সাহায্য করার অভিযোগ উঠেছে বাকি দুই অনুগামীর বিরুদ্ধে। পুলিশ এই মামলায় ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৭০ (১) গণধর্ষণ, ১২৭ (২) আটকে রাখা ও ৩ (৫), সম্মিলিত অপরাধের ধারায় মামলা রুজু করেছে। শুক্রবারই তাঁদের তোলা হয় আদালতে। ১ জুলাই পর্যন্ত তিনজনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।