Jadavpur: ওষুধ কিনতে গিয়েছিলেন ‘রুমমেট’, ফিরে এসেই দেখেন প্রতীপ আর নেই! যাদবপুরের পড়ুয়ার মৃত্যুতে বাড়ছে রহস্য
Jadavpur: কেপিসিতে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় ওই ছাত্রকে। সঠিক কারণ বুঝতে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ।
কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পড়ুয়ার মৃত্যুতে বাড়ছে রহস্য। ভরসন্ধ্যায় নিজের ঘরেই মৃত্যু হয় ওই পড়ুয়ার। মাত্র ২১ বছর বয়সের ওই ছাত্র অসুস্থতা বোধ করছিলেন। তবে এমন কী অসুস্থতা, যাতে মৃত্যু হল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। মৃতের প্রতীপ কুমার মান্না।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পড়াশোনা করতেন প্রতীপ। তিনি পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের বাসিন্দা। পড়াশোনার সূত্রেই তিনি কলকাতায় এসেছিলেন। ‘ফুড টেকনোলজি অ্যান্ড বায়োকেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং’-এর তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন তিনি। একটি বাড়িতে ভাড়ায় থাকতেন তিনি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সেই ঘর থেকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তাঁকে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
সার্ভে পার্ক থানা এলাকার বি এম মণ্ডল রোডে ভাড়ায় থাকতেন ওই যুবক। তাঁর সঙ্গে থাকতেন আরও এক পড়ুয়া। অর্ক মাইতি নামে ওই যুবক জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ ঘরে অসুস্থ বোধ করে প্রতীপ। তাঁকে ওষুধ কিনে নিয়ে আসতে বলেন তিনি। ওষুধ কিনে ৮ টার সময় ঘরে ঢুকে দেখে প্রতীপ সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে আছেন। তাঁকে নিয়ে প্রথমে স্থানীয় নার্সিংহোমে যান অর্ক। সেখান থেকে কেপিসিতে পাঠানো হয়। সেখানে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃত্যুর আসল কারণ কী, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ার মৃত্যু ঘিরে রহস্য তৈরি হয়েছে। জানা গিছে, তমলুকের বাসিন্দা ওই যুবক যথেষ্ট মেধাবী ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে থাকতেন না তিনি।