খাওয়ার পর মোবাইল হাতে পায়চারী করছিল, পিছন থেকে হঠাৎ ঘাড়ের ওপর বাঘ, বসাল থাবা
Tiger Attack: বৈকুন্ঠপুরে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের হামলায় মৃত্যু হয় এক মৎস্যজীবীর। আর এবার বাঘের হামলার মুখে এক ছাত্র। সোয়েটারের ওপর দিয়েই বসায় থাবা।
কুলতলি: শীত পড়তেই জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসছে বাঘ। লোকালয়ে বাঘের ঘোরাফেরা বেড়েই চলেছে। ক্যানিং, সুন্দরবন অঞ্চলের মানুষ রীতিমতো আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। বৃহস্পতিবারই এক মৎস্যজীবীর মৃত্যু হয়েছে বাঘের কামড়ে। বৈঠভাঙির জঙ্গলে ২২ বছরের ওই যুবকের মৃত্যু হয়। আর এবার হানা কুলতলিতে। রাতের অন্ধকারে সোজা ঘাড়ের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ল বাঘ।
বৃহস্পতিবার রাতে বাড়িতে খাওয়ার পর মোবাইল হাতে নিয়ে রাস্তায় বেরিয়েছিল এর কিশোর। বাড়ির সামনে নদীর পাড় ধরে রাস্তায় হাঁটছিল রাহুল হালদার নামে ওই ছাত্র। কুলতলি ব্লকের মৈপীঠ উপকূল থানা এলাকার গুড়গুঁড়িয়া-ভুবনেশ্বরী গ্রাম পঞ্চায়েতের দেবীপুর হাইস্কুলের পড়ুয়া রাহুল। ওই নদীর পাড় ধরে মাঝে মধ্যেই হাঁটাহাঁটি করে সে। কিন্তু পিছনে যে বাঘ ঘাপটি মেরে বসে আছে, তা ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি।
ফোন হাতে নিয়ে স্থানীয় নকুলের মোড় এলাকায় হাঁটার সময় আচমকাই জঙ্গল থেকে লোকালয়ে চলে আসা একটি বাঘ রাহুলের শরীরে থাবা বসিয়ে দেয়। রাহুল বাঘ বাঘ বলে চিৎকার করতে শুরু করলে বাঘটি তাকে ছেড়ে দিয়ে পাশের ম্যানগ্রোভের ঝোপঝাড়ের মধ্যে পালিয়ে যায়।
বাড়ির লোকজন তার চিৎকার শুনে দৌড়ে চলে যায়। আহত অবস্থায় রাতেই তাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে কুলতলি ব্লকের জামতলায় জয়নগর-কুলতলি গ্রামীণ হাসপাতালে। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে সে। শীতের রাতে সোয়েটার পরে বের হওয়ার কারণেই বাঘের আঁচড় খুব বেশি ক্ষত তৈরি করতে পারেনি। সোয়েটার ছিঁড়ে গিয়েছে নখের আচঁড়ে। তবে বরাত জোরেই রক্ষা পেয়ে যায় ওই স্কুল পড়ুয়া।
লোকালয়ে বাঘ ঢোকার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় বন দফতরের আধিকারিক সহ কর্মীরা। বুধবার রাত থেকেই কুলতলি ব্লকের মৈপীঠ উপকূল থানা এলাকার গুড়গুড়িয়া-ভুবনেশ্বরী গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রথম লোকালয় চলে আসে বাঘ। রাতভর বাজিপটকা ফাটানোর পর বাঘটি জঙ্গলে ফিরে চলে গেলেও পুনরায় বৃহস্পতিবার রাতে বাঘের আগমন হয়েছে দেখে আতঙ্কে রয়েছেন গ্রামবাসীরা।