Mousuni: ‘রুম থেকে বের হন… যত তাড়াতাড়ি পারেন’, রাতে মৌসুনী দ্বীপের কটেজে পর্যটকদের রুমে কড়া, ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা
Mousuni: বেআইনি কটেজের রমরমা এই দ্বীপাঞ্চলজুড়ে। পর্যটকদের ন্যূনতম নিরাপত্তা নেই। প্রায় ৫০টি কটেজে শীতের মরসুমে পর্যটকে ভরা। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে কটেজগুলির সরকারি অনুমোদন নিয়ে। একাধিক টুরিস্ট কটেজে অগ্নিনির্বাপণের কোনও ব্যাবস্থার দেখা মেলেনি।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: শীতের মরসুম। পর্যটকে ভরা কটেজ। উইকএন্ডে হঠাৎ কটেজে তুমুল চিৎকার চেঁচামেচি, আর্তনাদ। কটেজের কর্মীরা চিৎকার করে পর্যটকদের বলতে থাকেন, ‘সকলে ঘর থেকে বেরিয়ে আসুন… দ্রুত তাড়াতাড়ি পারেন।’ রুম থেকে বেরোতেই আঁতকে ওঠেন পর্যটকরা। কারণ কটেজের একাংশ ততক্ষণে চলে গিয়েছে আগুনের গ্রাসে। নামখানার বিছিন্ন দ্বীপ মৌসুনিতে বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে একটি টুরিস্ট কটেজ। পর্যটকরা কোনওক্রমে বাঁচলেও পুড়ে গিয়েছে রুমের মধ্যে থাকা সব সামগ্রী। এই কটেজগুলির অধিকাংশের নেই কোনও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা। নেই দমকলের অনুমতি।
বেআইনি কটেজের রমরমা এই দ্বীপাঞ্চলজুড়ে। পর্যটকদের ন্যূনতম নিরাপত্তা নেই। প্রায় ৫০টি কটেজে শীতের মরসুমে পর্যটকে ভরা। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে কটেজগুলির সরকারি অনুমোদন নিয়ে। একাধিক টুরিস্ট কটেজে অগ্নিনির্বাপণের কোনও ব্যাবস্থার দেখা মেলেনি।
হাতেগোনা কয়েকটি কটেজে অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা চোখে পড়েছে। মৌসুনির দুই কটেজ মালিক দমকলের কোন ছাড়পত্র নেই বলে স্বীকার করে নিলেন। গতকালের অগ্নিকাণ্ডের পর এক পর্যটকের মুখেও আতঙ্কের কথা শোনা গেল। মৌসুনি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মানসী ভট্টাচার্য জানান, শুধুমাত্র ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে চলে কটেজগুলি। প্রত্যেককে আগুন নেভানোর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে। কাকদ্বীপের মহকুমাশাসক মধুসূদন মণ্ডল বলেন, “মৌসুনির সব কটেজ অডিটের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দমকলকে। সব কটেজের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা হবে।”